সকালের খাবারে তাড়াহুড়োয় অনেকেই দুধ আর কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে কলা খান। কলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর উপকারী পুষ্টিগুণ। কলা হলো মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ।
এ ছাড়া কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। একটি মাঝারি সাইজের কলায় প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও নিয়মিত কলা খাওয়া জরুরি।
কলা মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন।
শরীরে শক্তি জোগাতে কলার জুড়ি মেলা ভার। গরমে রোদ থেকে ফিরে অনেক সময় খুব দুর্বল লাগে। তখন চাঙ্গা হতে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। ওজন কমে গেলেও চিকিৎসকরা অনেক সময় কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কলা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। কলায় থাকে পেকটিন নামক ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন যারা, তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা রাখতে পারেন।
কলায় ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাসে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়।