এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদ ফেরত যাত্রীরা দুর্বিষহ ভোগান্তিতে পড়েছেন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ইতিমধ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটারের যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ যানজটে এক হাজারের বেশি গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদের ছুটি শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন অফিস শুরু হয়। কিন্তু বেশিরভাগ চাকুরিজীবীরা ওইদিন অফিস করেননি। মূলত আগামীকাল রোববার থেকে অফিস করবেন বেশিরভাগ চাকুরিজীবী। তাই একসঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় আসার চেষ্টায় পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ ভোগান্তি।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলবাধা গ্রামের আশিকুল আলম জানান, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস পরিবহনে গতকাল দুপুরে তিনি সাতক্ষীরা থেকে রওনা দিয়েছেন।
বেলা পৌনে দুইটার সময় তিনি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ছিলেন। হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মোহাম্মদ মিঠুন জানিয়েছেন-বেশ কয়েকটি ঈদে এতো দীর্ঘ ভোগান্তি তিনি দেখেননি।
তিনি বলেন-খুলনা থেকে তার গাড়িটি ছেড়ে এসে রাত ৩ টায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট পৌঁছালেও এখনো তিনি ঘাট পার হতে পারেননি।
অনেকে নির্ধারিত পরিবহন ছেড়ে দিয়ে পায়ে হেঁটে বা বিকল্প পরিবহনে লঞ্চ বা ফেরি ঘাটে এসে পার হচ্ছেন। ঘাট পার হয়ে আলাদা গাড়িতে ঢাকায় রওনা হচ্ছেন।
কর্তব্যরত পাটুরিয়া ঘাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসিবুল আলম জানিয়েছেন, দীর্ঘ যানজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিআইডব্লিউটিসি ও তারা যৌথভাবে কাজ করছেন যত দ্রুত সম্ভব যানজট নিরসনের।
তিনি বলেন, ১৯টি ফেরিতে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। একসঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এক হাজারের বেশি গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামীকাল রোববার পর্যন্ত চাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার থেকে পর্যায়ক্রমে যাত্রী চাপ কমবে বলে তার ধারনা।