logo
আপডেট : ৭ মে, ২০২২ ২০:৩৭
সেনাবাহিনী প্রধানের প্রকল্প পরিদর্শন
কক্সবাজার বিমানবন্দরের জায়গা সম্প্রসারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করা হচ্ছে
জলবায়ু উদ্ভাস্তুরাও পাবেন ঘর
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার বিমানবন্দরের জায়গা সম্প্রসারণে
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করা হচ্ছে

প্রকল্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে যেসব জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে কক্সবাজারের খুরুশকুল উপজেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মণাধীন বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরও দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে জলবায়ু উদ্ভাস্তুরাও এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাবেন। সরকারের উদ্যোগে খুরুশকুল উপজেলায় এ বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড। 

শনিবার (৭মে) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের খুরুশকুল উপজেলায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে নির্মাণাধীন এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

পরিদর্শনকালে তিনি সরেজমিনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাপ্রধান আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিদর্শনকালীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, কোয়াটার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসানসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্তু ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩৮০৮টি পরিবারের পুনর্বাসন করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

প্রকল্পটি ২৪ নভেম্বর ২০২০ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পাইল ফাউন্ডেশন দিয়ে ১১৯টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ অন্যতম।

সেনাপ্রধান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ বিবিধ সুবিধাদি নির্মাণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী জুন ২০২৩ এর মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ইনানী এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়িতে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ঘুরে দেখেন।

কাজের বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান দেশের ভৌত অবকাঠামোগত নির্মাণে নিয়োাজিত সকল স্তরের সেনা সদস্যদের কার্যকরী ভূমিকা রাখায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং ভুঁয়সী প্রশংসা করেন। 

সমরে আমরা শান্তিতে আমরা’ এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।