নাটোরের ছেলে উদীয়মান চলচ্চিত্র পরিচালক রায়হান শশীর ‘ডেজা ভ্যু’ ফ্রান্সের বিশ^ কান চলচ্চিত্র উৎসবের সপ্তম বিভাগে বেস্ট ফিলোসফিক্যাল ফিল্ম পুরস্কার জিতেছে। তিনভাগ পানি আর একভাগ স্থলের এই পৃথিবীতে যদি সমুদ্র প্রতিশোধ নেয় তা হলে আমরা কি করব বা কোথায় যাব। এ প্রেক্ষাপট নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ‘ডেজা ভ্যু’ চলচ্চিত্রটি।
চলচ্চিত্রটির প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর অন্যতম হলো- ‘নারী ভোগদখল করার জন্য নয়। নারী, পুরুষের চেয়েও বেশি একজন মানুষ।’ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ৭টি চলচ্চিত্র উৎসবের চিহ্ন লেগেছে ডেজা ভ্যুর পোস্টারে।
‘ডেজা ভ্যু’ প্রযোজনা করেছেন ফারাহনাজ আলম এবং গল্প, সংলাপ, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন রায়হান শশী।
চিত্রগ্রাহক সাঈদ মুস্তাকিম অনিক, প্রোডাকশন ডিজাইন করেছেন হাসান অয়ন এবং সহযোগী পরিচালক তন্ময় সূর্য্য। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছে উড়ুপট্রপ প্রোডাকশন। পরিচালক রায়হান শশী বলেন, এই চলচ্চিত্রে বিবেকের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করছেন ইমরান হোসেন। জীবনের ভুমিকায় তামিম তপু, ইমরানকে দেখা যাবে অজানা এক দ্বীপে থিতু হওয়া জীবনের আলোর দিশারী হয়ে আবির্ভাব হতে। চমৎকার গলায় বিবেকের জীবনমুখী গান আর জীবনের মূল্যবোধ নিয়ে জীবনের সঙ্গে কথোপকথন দর্শককে বিমোহিত করবে বলে আশাবাদ তার।
তিনি মনে করেন, ইমরান সেরা যন্ত্রসংগীতের চেয়েও বেশি সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এদিকে, রায়হান শশীর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার। এক সময় ঢাকার চলচ্চিত্র আঙ্গিনায় শশীর পিতা নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুরুল মোর্শেদ লুলুরও পদচারণা ছিল। বাবার পথ ধরেই চলচ্চিত্র অঙ্গনে ঝুঁকে পড়েন শশী।
তিন বন্ধুকে নিয়ে তার যৌথ প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছে ‘ন্যায়যুদ্ধ’ নামে একটি সিনেমা। ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে মঞ্জুরুল মোর্শেদ লুলু বলেন, সিনেমাটি কানের মতো বড় একটি উৎসবে সম্মানিত হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। চলচ্চিত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা না পারলেও মেজো ছেলে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করায় খুব খুশি তিনি।
এদিকে ‘ডেজা ভ্যু’ দাদা সাহেব ফালকে ২০২২ চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পেয়েছে অফিসিয়াল সিলেকশন। বিশেষ আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চলতি মাসে দিল্লি যাচ্ছেন সিনেমার পরিচালক রায়হান শশী ও প্রযোজক ফারাহনাজ আলম।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে ইন্ডিয়ার দাদা সাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড একটা সম্মানজনক ব্যাপার।