চুই ঝাল খাবারের রুচি বাড়াতে ও ক্ষুধামান্দ্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে আইসোফ্লাভোন ও অ্যালকালয়েড নামক ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যানসার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এটি ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।
প্রসূতি মায়ের প্রসবপরবর্তী ব্যথা প্রশমনে ভালো কাজ কওে চুই ঝাল। সদ্যপ্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা কমাতে চুই ঝাল ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মরিচের বিকল্প হিসেবে চুই ঝালের জনপ্রিয়তা বাড়লে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে ভেষজগুণ থাকার কারণে অনেক রোগব্যাধির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তা হলে চলুন আজ জেনে নেই চুই ঝালে কিভাবে গরুর মাংস রান্না করতে হয়। রেসিপি দিয়েছেন : রোখসানা কবির আদিলা
যা যা লাগবে : গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ ১/২ কাপ কুচি, পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা চামচ (আস্ত), জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, তেজপাতা ২ পিস, চুই ঝাল ৩ ইঞ্চি ৫/৬ পিস, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১.১/২ চা চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন + সরিষার তেল ১০০ গ্রাম, এলাচ ৪ পিস, দারুচিনি ১ ইঞ্চি ৩ পিস, লং ৪ পিস, গরম মসলা ১ চা চামচ, আস্ত রসুন ৩/৪ পিস, পানি পরিমাণমতো।
যেভাবে করবেন
প্রথমে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। একটু ব্রাউন কালার হলে আস্ত গরম মসলা দিয়ে দিন। তারপর একে একে বেটে রাখা মসলা ও গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিন। মসলা ভালো করে কষিয়ে তার মধ্যে মাংস দিয়ে দিন। মাংস থেকে পানি বের হয়ে এলে ঢেকে রাখব মিডিয়াম আঁচে ১০ মিনিট।
এরপর সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আবার ঢেকে দিব ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর চুই ঝাল ও আস্ত রসুন দিয়ে সামান্য গরম পানি দেব এবং আবারও ২০ মিনিটমতো কষাতে হবে। যখন মাংস থেকে তেল বের হয়ে আসবে, তখন লবণ টেস্ট করে ঢেকে ১০ মিনিট লো আঁচে চুলায় বসিয়ে রাখব।
তারপর সুন্দর করে সাজিয়ে গরম ভাত অথবা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।