logo
আপডেট : ৯ মে, ২০২২ ১২:২০
বৃদ্ধির পথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ
অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃদ্ধির পথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ

দৈনিক ভোরের আকাশ-সবার কথা বলে

রেমিট্যান্স- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত ‘স্বস্তিদায়ক’ শব্দ। প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রতি বছর যোগ হয় দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত রেমিট্যান্সযোদ্ধারা প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থের সংস্থান করে চলেছে। করোনাভাইরাসের কারণে যখন পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে, সে সময়েও থেমে থাকেনি ‘রেমিট্যান্সপ্রবাহ’। উপরন্তু, প্রতিটি উৎসবকে সামনে রেখে প্রবাসী কর্মীরা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত করে ‘বাড়তি অর্থ’। সাধারণত প্রবাসীরা ঈদের সময় অতিরিক্ত অর্থ পাঠায়, ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারের ঈদুল ফিতরেও। ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে নিজেদের পরিবার-পরিজনের কাছে ‘অতিরিক্ত’ অর্থ পাঠানোর কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছে।

সম্প্রতি প্রবাসী কর্মীদের রেকর্ডসংখ্যক ভিসা ইস্যু করেছে ঢাকায় সৌদি আরবের দূতাবাস। অর্থাৎ, বিদেশে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আরো প্রবাসী শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগহেতু রেমিট্যান্সও বাড়বে। এ খবর অত্যন্ত আনন্দের, বড্ড স্বস্তিদায়ক।

 

করোনা মহামারির সম্পূর্ণরূপে যবনিকাপাত ঘটেনি এখনো। সারা বিশ্বই এখনো রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, নেপালের মতো অনেক দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ধসে গেছে। এতসব নেতিবাচক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকরা। নতুন করে যে বাড়তি শ্রমশক্তি রপ্তানির কথা বলা হচ্ছে- সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রেমিট্যান্সে যোগ হবে বাড়তি মাত্রা, দেশের অর্থনীতিতে বইবে সুবাতাস। করোনার তা-বের মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা বজায় রেখে চলেছে, শ্রমশক্তির রপ্তানি খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনায় চলমান ধারা আরো বেগবান হবে। রেমিট্যান্সপ্রবাহের ক্রমোন্নতিতে দেশের উন্নয়ন ঊর্ধ্বমুখী হবে, স্থায়ী-স্থিতিশীল ও মজবুত ভিত্তিতে প্রথিত হবে দেশের অর্থনীতি

 

মহামারি করোনার কারণে বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানি কিছুটা স্থবির হয়ে পড়লেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় কর্মী প্রেরণে আবারো স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সৌদি আরবে পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়েছে কর্মী প্রবেশ। তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও উত্তরোত্তর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আশানুরূপ শ্রমশক্তির রপ্তানি দেশের অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করবে।

পরিসংখ্যান মতে, গত বছরের ১ জুলাই থেকে এ বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরেরও কম সময়ে বিশে^র বিভিন্ন দেশে গেছেন ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৭ বাংলাদেশি কর্মী। চলতি বছরে নতুন করে আরো ১০ লাখের বেশি কর্মী বিদেশ যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগামীতে আমাদের রেমিট্যান্সপ্রবাহ আরো বাড়বে।

করোনা মহামারিপরবর্তী শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীন ও জাপানসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে (টিটিসি) আরো আধুনিকায়নের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সরকারের এসব সময়োপযোগী উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করে তোলে।

মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা ও নানা সংকটের কারণে গত বছর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে পড়লেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। বছরটিতে রেকর্ড দুই হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠান প্রবাসীরা। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও কৃষি- এ তিন খাত মহামারিতে আমাদের রক্ষা করেছে। তবে এ তিন খাতের মধ্যে বড় ভূমিকা রেখেছে রেমিট্যান্স।

করোনা মহামারির সম্পূর্ণরূপে যবনিকাপাত ঘটেনি এখনো। সারা বিশ্বই এখনো রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, নেপালের মতো অনেক দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ধসে গেছে। এতসব নেতিবাচক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকরা। নতুন করে যে বাড়তি শ্রমশক্তি রপ্তানির কথা বলা হচ্ছে- সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রেমিট্যান্সে যোগ হবে বাড়তি মাত্রা, দেশের অর্থনীতিতে বইবে সুবাতাস। করোনার তা-বের মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা বজায় রেখে চলেছে, শ্রমশক্তির রপ্তানি খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনায় চলমান ধারা আরো বেগবান হবে। রেমিট্যান্সপ্রবাহের ক্রমোন্নতিতে দেশের উন্নয়ন ঊর্ধ্বমুখী হবে, স্থায়ী-স্থিতিশীল ও মজবুত ভিত্তিতে প্রথিত হবে দেশের অর্থনীতি।