logo
আপডেট : ৯ মে, ২০২২ ১৩:০৬
৪২৫ টাকার টিকিট ১৪০০ টাকা
প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

৪২৫ টাকার টিকিট ১৪০০ টাকা

টিকিট না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে ফুলবাড়ী স্টেশন থেকে কর্মস্থলে ফিরছেন যাত্রীরা

ঈদের ছুটি শেষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে ঢাকার কর্মস্থলে বাস-ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই কর্মস্থলে সময়মতো ফিরতে পাচ্ছেন না। বাস ও ট্রেনের টিকিট কোথাও নেই। ফলে কর্মস্থলে ফিরতে চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন অনেকে।

গত শনিবার ও রোববার সকালে ফুলবাড়ী ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য যাত্রী টিকিট না পেয়ে ফিরে আসছেন। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, ১৪ মের আগে কোনো টিকিট নেই। অথচ কালোবাজারে ৭০০ টাকার টিকিট এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার নরমাল কোচের ভাড়া এখন গুনতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। তারপরও আবার টিকিট মিলছে না।

ঢাকা গমনেচ্ছু শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট রয়েছে। তারপরও বলা হচ্ছে টিকিট নেই। এই কাজ বাস কাউন্টারের একশ্রেণির অসাধু কর্মচারীরা করছেন।’ তিনি এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

একইভাবে গত শনিবার ও গতকাল রোববার ফুলবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট দিনের টিকিট তিন দিন আগে দেওয়ার কথা। সকালে লাইনের মাধ্যমে এই টিকিট দেওয়া হচ্ছে। গভীর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সকালে অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। ১০-১২ জনকে টিকিট দেওয়ার পরে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ। বাইরে স্টেশনের প্লাটফর্মের পানবিড়ি-চায়ের দোকানে শোভন শ্রেণির ৪২৫ টাকার টিকিট ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এতে ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

ঢাকাগামী টিকিট প্রত্যাশী সুজন হোসেন বলেন, ‘এখন যে পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়া হচ্ছে, তাতে অনিয়ম হওয়ার কথা নয়। তারপরও আমরা টিকিট পাচ্ছি না। এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া টিকিট উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’

ঢাকা থেকে কষ্ট করে এলেও ফিরতি পথে বাস-ট্রেনের টিকিট পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মহিদুল ইসলাম জানান, কাকডাকা ভোরে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে ফিরে এসেছেন। ৮ থেকে ১০ জনকে টিকিট দেওয়ার পর কাউন্টার থেকে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে, কোনো টিকিট নেই।

বাধ্য হয়ে ঢাকাগামীদের হয় দালালের মাধ্যমে, না হয় স্টেশনের কাউকে ম্যানেজ করে টিকিট নিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও গোপনে চড়া দামে টিকিটগুলো হাত বদল হচ্ছে।