logo
আপডেট : ৯ মে, ২০২২ ১৬:৪০
নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের দ্রুত বিচারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের দ্রুত বিচারের দাবি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে '৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানসহ ছয় আসামির দ্রুত বিচারের দাবি'তে সংবাদ সম্মেলন করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন

৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন, সদস্য এম এ কাসেমসহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দ্রুত বিচার ও তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

সোমবার (৯ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে '৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানসহ ছয় আসামির দ্রুত বিচারের দাবি'তে সংবাদ সম্মেলন করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন, সদস্য এম এ কাসেমসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস বলেন, আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের কারণেই নর্থ সাউথ পরিণত হয়েছে দুর্নীতি-অনিয়ম ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে। তাই এদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা করার বিষয়টি প্রশংসনীয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, অভিযুক্ত প্রত্যেকেই সমাজের প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তাই তাদের কেউ যেন আইনের ফাঁকে বেরিয়ে যেতে না পারে। অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করতে হবে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন আহমেদ ও কাসেম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান সংগঠনের উপদেষ্টা।

তবে ট্রাস্টি সদস্য আজিজ আল কায়সার টিটুর নাম বাদ পড়ায় তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, সিন্ডিকেট আর জঙ্গিবাদে পর্যুদস্ত দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর জীবন। এত বেশি অনিয়মের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ক্রমেই নিন্মমুখী হচ্ছে।