logo
আপডেট : ৯ মে, ২০২২ ২১:১২
ঘূর্ণিঝড় অশনি: পিরোজপুরে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
পিরোজপুর প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় অশনি: পিরোজপুরে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মাঠে থাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ধানকাটার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে অধিকাংশ বোরো ধান পাকলেও শ্রমিকের অভাবে তা কাটতে পারছেন না কৃষকেরা।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে পিরোজপুরে ২৬ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ১৯৩ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতীয় ধানের চাষ করা হয়েছে। আর ১১ হাজার ৮২৫ হেক্টরে জমিতে উফশী ও ৫২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৩১ টন। বোরো চাষে আগ্রহ সৃষ্টি ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৪ হাজার বিঘায় প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া গ্রামের কৃষক মো. মিজানুর রহমান। এবার নিজের দুই একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন তিনি। ধানও পেকে গেছে। তবে শ্রমিকের অভাবে ধানকাটা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘কৃষি শ্রমিকে অভাবে ধানকাটতে পারছি না। ঘূর্র্ণিঝড় হলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায় বলেন, ‘হঠাৎ করে অশনি ঝড়ের খবরে আমরা শঙ্কিত। অশনি আমাদের এ উপকূলে আঘাত হানলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। কেননা জমির ধান ৯০ শতাংশই ইতোমধ্যে পেকে গেছে। আমরা জেলার সব উপজেলা কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের যত দ্রুত সম্ভব ধানকাটার পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ জমির বোরো ধানকাটাও হয়ে গেছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের মাঠে দৃষ্টিনন্দন ধানের শীষ সবার নজর কেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি না হলে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শ্রমিকের সমস্যা সমাধানে গত রোববার সদরের শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধানকাটা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে একরপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ হয় ও সময় বেশি লাগে। কিন্তু কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে খুব দ্রুত ধানকাটা যায়। আর প্রতি একরে খরচ হয় মাত্র ২ হাজার টাকা।’