logo
আপডেট : ৯ মে, ২০২২ ২১:৫৮
দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে চায় শ্রীলংকা
ক্রীড়া ডেস্ক

দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে চায় শ্রীলংকা

বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভাল পারফরমেন্সের মাধ্যমে দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে চায় শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে রোববার ঢাকায় পা রাখে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। সোমবার সকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি একাডেমি মাঠে প্রথম অনুশীলনে নামে লংকানরা। দুপুর পর্যন্ত চলে সেই অনুশীলন।

মাথার মধ্যে বড় দুঃশ্চিন্তা নিয়ে এবারের বাংলাদেশ সফরে শ্রীলংকা দল। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কঠিন সংকটের মুখে পড়েছে দেশটি। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি ও আকাশ-ছোঁয়া দাম, দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং সমস্যায় বিধ্বস্ত লংকানরা।

তাই মহা সমস্যায় থাকা দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে চায় শ্রীলংকা। সোমবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন কথা জানান শ্রীলংকা সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ। তিনি বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি ইতিবাচক কিছু নেই। দল হিসেবে দেশে কিছু ইতিবাচকতা নিয়ে ফিরতে পারলে দারুণ হবে, যেন দেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করা যায়। এটাই এখন আসল ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলটা ভালো। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয় গড়া এই দলটি। জয়-হার নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের পারফরমেন্সের উপর। দল নিয়ে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আত্মবিশ্বাসী। এই দলটি মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।’

দেশের বর্তমান চরম সংকট শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের উপরে পড়েনি বলে আশ^স্ত করেন নেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না। ক্রিকেট খেলোয়াড়রা ব্যস্ত ছিলো। কয়েক মাস ধরেই অনুশীলন চলছে। তাদের উপর কোন প্রভাব পড়ার ঘটনা আমি দেখিনি।’

বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজটি কঠিন প্রতিন্দ্বন্দিতামূলক হবে বলেও জানান নেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, নিশ্চিতভাবেই এটা কঠিন একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে। এই সিরিজে মূলত দুই দলের ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা হবে। বোলিং গ্রুপ এখনও অনভিজ্ঞ, তবে দুই দলের ব্যাটিং বেশ এগিয়ে।’

আগামী ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৩ মে থেকে ঢাকায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্ট সিরিজের আগে বিকেএসপিতে ১০ ও ১১ মে একটি দু’দিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে শ্রীলংকা।