logo
আপডেট : ১০ মে, ২০২২ ১৩:২৫
প্রকল্পের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে আদালত সরকারকে নির্দেশ দিতে পারবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকল্পের চাকরি রাজস্ব খাতে
স্থানান্তরে আদালত সরকারকে
নির্দেশ দিতে পারবে না

ফাইল ফটো

চুক্তি ভিত্তিতে সরকারি কোনো প্রকল্পে চাকরি হওয়ার পর সেই চাকরি রাজস্ব খাতে আত্মীকরণে কোনো বিধান না থাকলে দেশের কোনো আদালত ওই চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে সরকারের প্রতি আদেশ দিতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রকল্পের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরবিষয়ক এক মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদালত বলেছেন, যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পান সেজন্য সব বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন। ১৮ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৬ মার্চ এই আদালত সংক্ষিপ্ত আদেশ দিয়েছিলেন। প্রকল্পের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারের করা ৬২টি লিভ টু আপিল আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি নিয়ে উল্লিখিত রায় দেন আপিল বিভাগ।

সরকার ১৯৯৬ সালে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কারণে এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) নামে নতুন প্রকল্প নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় আগের ১০ হাজার ক্লিনিক সংস্কার করে এবং নতুন আরো সাড়ে তিন হাজার ক্লিনিক স্থাপন করে। সব মিলে সাড়ে ১৩ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। ২০১১ সালে এসব ক্লিনিকের প্রত্যেকটিতে একজন করে সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য প্রকল্পে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এর মেয়াদ আরো দুই বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এরপরও তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর না করায় ওই দুই প্রকল্পে কর্মরতরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

এদিকে ২০১৬ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপি-কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি) প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়। আর ওই দুটি প্রকল্পে দায়িত্বরতদের জন্য সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রাস্ট অ্যাক্ট-২০১৮ প্রণয়ন করেছে বলে আদালতকে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এ অবস্থায় আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোবাইডার (সিএইচসিপি) প্রকল্প দুটিকে একটি ট্রাস্টের অধীনে নিতে যত দ্রুত সম্ভব কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিসটেন্স ট্রাস্ট অ্যাক্ট-২০১৮ এর বিধিমালা করতে বলেছেন।