logo
আপডেট : ১১ মে, ২০২২ ১৩:০১
তরমুজের কেজি ৪৫, আনারস ৬০ টাকা
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

তরমুজের কেজি ৪৫, আনারস ৬০ টাকা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তীব্র গরমে তরমুজের কেজি ৪৫ টাকা এবং ৬০ টাকা কেজিতে আনারস বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড় এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রকারভেদে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। কোথাও কোথাও সবজির দোকানে একইভাবে তরমুজ ও আনারস বিক্রি করা হচ্ছে।

ফুলবাড়ী পৌরশহরের নিমতলা মোড় এলাকার আনারস বিক্রেতা সবুর মিয়া বলেন, ‘আড়ত থেকে পিস হিসেবে আনারস কিনে এনে দাম বেশি পড়ায় এখানে কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে যে পরিমাণ লাভ হয় তাতে আমরা ঝুঁকিতে থাকি। কারণ ফল পচনশীল জাতীয়। ফলে প্রতিদিন যে পরিমাণ আনারস থেকে যায় তার মধ্যে কিছু না কিছু পচে নষ্ট হয়। যা পুরোটাই লোকসান গুনতে হয়। ফলে আনারস বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হয় না।’

একই এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সাদেক আলী, সারওয়ার্দী হোসেন ও সাইদুল ইসলাম বলেন, পিস দরে তরমুজ বিক্রি করলে তেমন লাভ হয় না বলেই কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। কেজিতে তরমুজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কম বলে বেশি লাভ করা যায়।

একই এলাকায় তরমুজ কিনতে আসা মহেন্দ্র চন্দ্র সাহা ও শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ছোটখাটো তরমুজ কিনতে গেলেও ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা লেগে যাচ্ছে। এত টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে তরমুজ কিনে খাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক মানিক সরকার বলেন, বাড়ীতে নারায়ণ পুজোর জন্য আনারস কিনতে এসে শুনি আনারসও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে আনারস না কিনেই বাড়ি চলে গেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, সরকারিভাবে তরমুজের মূল্য নির্ধারণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে। তবে মোকামে কেনার রসিদ দেখে মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।