টেস্ট ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়টা বড্ড বাজে মুশফিকের। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার সফরটা কেটেছে হতাশায়। খুব রান পাননি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। তারপরও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুশফিক ভালো করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তিনি জানিয়েছেন, ‘ম্যাচেই দেখতে পাবেন আমার মনে হয়, মুশফিকের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু দেখতে পাবেন এই ম্যাচে।’
টেস্টে বাংলাদশের সফলতম ব্যাটসম্যান মুশফিক। সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের রেকর্ড তার। একাধিক ডাবল সেঞ্চুরি নেই এদেশের আর কারও, মুশফিকের আছে তিনটি। কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি তার, টেস্ট ইতিহাসেই তা নেই আর কারও। তারপরও মুশফিককে নিয়ে সংশয়ের কারণ তার সাম্প্রতিক ফর্ম।
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটি ফিফটি করলেও বাকি তিন ইনিংসে দু অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। সবশেষ ৯ ইনিংসে তার ফিফটি ওই একটিই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পর ১৮ ইনিংস পেরিয়ে গেছে, সেঞ্চুরির স্বাদ এখনও পাননি আর।
তাকে নিয়ে দুর্ভাবনার বড় কারণ, আউট হওয়ার ধরনগুলোও। দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন বেশ কিছু ম্যাচে। তবে তাকে নিয়ে সংশয়ের কোনো মেঘ নেই সিডন্সের মনে। বরং আলো ঝলমলে সিরিজের আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাটসম্যানই এই সময়টার ভেতর দিয়ে যায়, যখন রান করে না। গত দুই দিন এখানে (অনুশীলনে) সে যেভাবে খেলছে, আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই সপ্তাহে সে এখানে ম্যাচেও রান করবে। তাকে ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে আছি আমি। খুব ভালো কিছুর আভাস আমি দেখেছি (মুশফিকের ব্যাটিংয়ে), তার সঙ্গে দুয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। আমার মনে হয়, সত্যিই সফল একটি সিরিজ কাটাবে সে।”
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুশফিককে, তিনি নিজে যেটিকে দেখেছিলেন ‘বাদ’ হিসেবেই। পরে দলে ফিরেছেন বটে, কিন্তু তবে তিন সংস্করণেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
সিডন্স অবশ্য মনে করছেন, ক্যারিয়ারের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কার চেয়ে মুশফিকের ভাবনাজুড়ে আছে কেবল সামনের টেস্ট সিরিজ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, মুশফিকের সব মনোযোগ এই ম্যাচগুলোয়। আমার মনে হয় না, কোনো সংস্করণে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা তার মধ্যে আছে। তার ভাবনা পুরোটাই এই দুই টেস্ট ম্যাচে আমাদের জন্য রান করা নিয়ে। তার মনোযোগ টেস্ট ক্রিকেটে।’