আর্সেনালকে উড়িয়ে দিয়ে টটেনহাম হস্পার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে। বহস্পতিবার নিজেদের মাঠের খেলায় একপেশে লড়াইয়ে টটেনহাম ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে। নর্থ লন্ডন ডার্বিতে হ্যারিকেন জোড়া গোল করেছেন। অন্য গোলটি করেছেন সন হিউং মিন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের শিরোপা লড়াইটা ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেখানে আর্সেনাল বা টটেনহাম হস্পারের স্থান নেই। তবে এ দুটো দল শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার লড়াই করছে। এ লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে আর্সেনাল। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচের আগেও তারা এগিয়ে ছিল। তবে এখন আর আগের মতো স্বস্তিতে নেই। কেননা টটেনহাম এখন তাদের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে।
৩৬ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৬। সমসংখ্যক ম্যাচ শেষে টটেনহামের পয়েন্ট ৬৫। ম্যানচেস্টার সিটি ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল দ্বিতীয় স্থানে। চেলসি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট ৭০। গোল পার্থক্যে তারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া বাকি দুই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলেই তারা চ্যাম্পিয়ন লিগে খেলা নিশ্চিত করতে পারবে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জায়গা করে নিতে আর্সেনাল ও টটেনহামের মধ্যে লড়াইটা জমে উঠেছে। আর এ লড়াইয়ে দারুণভাবে ফিরেছে টটেনহাম।
নর্থ লন্ডন ডার্বিতে শুরু থেকেই টটেনহাম খেলাটা একপেশে করে তুলেছিল। তারই সুবাদে ১৯৮৩ সালের পর এই ডার্বিতে সবচেয়ে বড় জয়টা তুলে নেয় টটেনহাম। প্রথমার্ধে দুই গোল করেন হ্যারি কেন। প্রথমটি পেনাল্টিতে আর দ্বিতীয়টি হেডে। সন হিউং মিনকে ফাউল করায় ২২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল টটেনহাম। দলকে এগিয়ে নেওয়ার সহজ সুযোগটি নষ্ট করেননি কেন। এ গোলের মাধ্যমে নর্থ লন্ডন ডার্বিতে কেনের গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ ম্যাচে। পরে সংখ্যাটা ১৪ করেন তিনি।
প্রথম গোলের কয়েক মিনিটর পর আর্সেনাল ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটা নষ্ট করে ফেলে। দুই হলুদ কার্ড দেখে ৩৩ মিনিটে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হন রব হোল্ডিং। কনুই দিয়ে সনের মুখে আঘাত করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়েছিলন হোল্ডিং। বিরতির পর সন গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এ গোলের মাধ্যমে লিগে গোলের সংখ্যা ২১ করেছেন সন। নিজেকে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে দারুণভাবে শামিল করেছেন। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ থেকে এক গোল কম তার।
আর্সেনাল বাকি দুই ম্যাচে নিইক্যাসেল ইউনাইটেড ও এভারটনের বিপক্ষে খেলবে। দুটো নিচু সারির দল। অন্যদিকে টটেনহামের প্রতিপক্ষ বার্নলি ও নরউইচ সিটি। টটেনহামের দুই প্রতিপক্ষই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে। ফলে আর্সেনাল কোনো এক ম্যাচ পয়েন্ট হারালেই টটেনহামের সামনে সুযোগটা চলে আসবে।
হ্যারি কেন ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনো দুটো ম্যাচ রয়েছে। এ ম্যাচ জয়ের মাঝ দিয়ে আমরা তাদের ওপর একটা চাপ তৈরি করতে পেরেছি। এখন আমাদেরকে নিজেদের খেলায় মনোযোগী হতে হবে। রোববার দিন আমাদের ম্যাচ আগে মাঠে গড়াবে। সেখানে আমাদের জিততে হবে। তারপর অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমরা শুধু আমাদের খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এদিন আমরা আমাদের কাজ করেছি। যাহোক এ রাতটা ছিল আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য শীর্ষ চারে থাকা। সে জন্য আমাদের আরো কাজ করতে হবে।’