পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরির অপবাদ দিয়ে মুন্না নামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে তিনদিন ধরে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। এদিকে অমানবিক নির্যাতনের পর থেকে ওই কিশোর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গত সোমবার (৯ মে) গলাচিপা সদর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মুন্না ৯নং ওয়ার্ডের শাহজাহান কমান্ডারের ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর মুন্নাকে একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে বোয়ালিয়া রাড়ি বাড়ির হজরত আলী নামে এক ব্যক্তি বেধরক মারধর করছে। আর আশপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন বাড়ির লোকজন। মারধরে মুন্নার শরীরে জখম হতেও গেছে।

মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, গত ৯ মে থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় মুন্নার ওপর এ অমনাবিক নির্যাতন চালানো হয়। তবে ১১ এপ্রিল রাতের পর থেকে মুন্নাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মুন্নার সৎ মা হাসিনা বেগম জানান, তারা ঢাকায় থাকেন, মুন্না বাড়িতে থাকতো। খবর পেয়ে তার বাড়িতে এসেছেন। তার ছেলেকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দফায় দফায় তিনদিন হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ এবং তানিয়া অমানবিন নির্যাতন করে। এরপর থেকে তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর সওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ শহীদুল্লাহ।