logo
আপডেট : ১৪ মে, ২০২২ ১৫:৪৫
উপজেলা প্রশাসনের সীমানা প্রাচীরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ
আমীর হামজা, হবিগঞ্জ

উপজেলা প্রশাসনের সীমানা প্রাচীরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ

উপজেলা কমপ্লেক্সের পেছনের আবাসিক এলাকায় জমে আছে পানি

উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পেছনেই একটি আবাসিক এলাকা। সেখানে ৪৫-৫০টি পরিবারের বাস। যাতায়াতের কোনো বিকল্প না থাকায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন তারা। তবে সেই রাস্তায় সীমানা প্রাচীর করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

বলছি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের কথা। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই রাস্তা দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। তাদের চলাচলের জন্য সেখানে রাখা হয় ছোট্ট একটি পকেট গেট। সেই গেট দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় তাদের। এমনকি কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ফায়ার সাভিসের গাড়ি যাওয়ারও কোনো রাস্তা নেই সেখানে। এ ছাড়া প্রাচীর নির্মাণের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় রাস্তায়।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, বিকল্প রাস্তা নির্মাণে নীতিগত সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ও পৌরসভা সমন্বিতভাবে সেই প্রকল্প প্রস্তুত করবে।

ওই এলাকার শিক্ষার্থী আতিক হাসান সামি বলেন, ‘আমাদের এখানে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে থাকে। চলাচল করতে হলে পানির ওপরে ইট বা কাঠ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কোনো ঘরে যদি আগুন লাগে ফায়ার সার্ভিস লোকজন আসার রাস্তাও নাই।’

হৃদয় হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে ময়লা আবর্জনার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মশা, মাছি তো আছেই।’

উপজেলা পরিষদের পেছনেই বাসা আমিনুল ইসলাম টিটুর। তিনি বলেন, ‘আগে আমরা সবদিক দিয়ে যাতায়াত করতে পেরেছি। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, আমরা লাশ নিয়ে বের হতে পারি না। জায়গায় জায়গায় এই সমস্যার প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পাই নাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিছুদিন আগে এক মহিলা মারা যায়। তখন তার লাশ নিয়ে আমরা বের হতে পারিনি। পরে তাকে পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে বের হয়েছি।’

রাশেদ আহামেদ চৌধুরী পরাগ নামের আরেকজন বলেন, ‘আমাদের এলাকার মানুষের সর্বোচ্চ ট্যাক্স ধরা হয়েছে পৌরসভা থেকে। কিন্তু আমাদের নিম্ন মানের সেবাও দেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন পানি জমে থাকে রাস্তায়। মনে হয় আমরা কোনো ডোবার মধ্যে বসবাস করছি।’

এ বিষয়ে মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কোনো নাগরিক কষ্ট করুক এটি আমরা চাই না। দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধান হবে।’

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর ও পৌরসভা সমন্বিতভাবে প্রকল্প প্রস্তুত করবে। মাটি ভরাটের মাধ্যমে নিচু জায়গা উঁচু করার জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে।’