logo
আপডেট : ১৩ মে, ২০২২ ০০:০০
শিশুর এসিডিটি সমস্যা
ডা. আবু সাঈদ শিমুল

শিশুর এসিডিটি সমস্যা

অনেকেই মনে করেন এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক শুধু বড়দেরই হয়। আসলে কিন্তু তা নয়। বর্তমানে এসিডিটিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বাড়ছে। এর প্রধান কারণ এইচ পাইলোরি নামক জীবাণু। কিন্তু বর্তমানে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতার ফলেও শিশুদের এসিডিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া স্কুল থেকে বের হলেই তারা ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি খাওয়ার জন্য বায়না ধরে।

এসব খাবার খাওয়ার কারণে অনেকে এসিডিটিতে ভোগে। এ জন্য মানসিক চাপও দায়ী। শহরে মাঠের সংকট থাকায় আজকাল শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাদের কাঁধে বইয়ের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের পড়া, প্রাইভেট, কোচিং এবং পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সবসময় মা-বাবার চাপের কারণে শিশুদের আত্মবিশ্বাস কমছে।

এতে মানসিকভাবে তারা চাপে থাকছে। এ কারণে এসিডিটিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসিডিটি বেশি বেড়ে গেলে তা থেকে পেটের আলসার বা পেপটিক আলসার রোগও হতে পারে। তবে আগে থেকে লক্ষণ ও প্রতিকার জানা থাকলে এ জটিলতা এড়ানো সম্ভব। সাধারণত পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব ও ক্ষুধা কমে গেলে বুঝতে হবে এসিডিটি হয়েছে।

অনেক শিশু এসব কিছুই বুঝতে পারে না। তারা শুধু পেট চেপে ধরে অস্থিরতা কিংবা কান্না করতে থাকে। এসিটিডি প্রতিকারের জন্য বেশকিছু ওষুধ আছে। তবে একই ওষুধ সব বয়সের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুদের ওষুধ খাওয়ান।