logo
আপডেট : ১৪ মে, ২০২২ ১৮:০৫
গোপলগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপলগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯

গোপালগ‌ঞ্জের কা‌শিয়ানীর মিল্টন বাজার এলাকায় বাস-প্রাই‌ভেটকা‌র-মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকার এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক গোপালগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকার ডা. বাসুদেব কুমার সাহা (৫২), তার স্ত্রী শিবানী সাহা (৪৮) ছেলে আহসান উল্লাহ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল সাহা (১৯) ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক আজিজুর ইসলাম (৪৪), কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের ফিরোজ মোল্যা (৪৮), তার স্ত্রী রুমা বেগম (৪০) এবং ওই গ্রামের অনিক বাবু (২৮) অনিকের বাগদত্তা ইয়াসমিন আক্তার (১৯) ও পাথরঘাটা গ্রামের চরদোয়ানী গ্রামের আলতাফ হোসেন খান (৫৫)।

এ ঘটনায় আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চালচল বন্ধ থাকে। রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যায় জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা এবং পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাজিব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানীর দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকার ও কাশিয়ানী সদর থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভটকারটি সড়কের পাশে ধান মাড়াইরত শ্রমিক ও মেশিনের ওপর ছিঁটকে পড়ে এবং বাসটি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারে থাকা পরিবারের তিনজন ও চালক, মোটরসাইকেলের দুই আরোহী, ধান মাড়াইরত স্বামী-স্ত্রীসহ এবং বাসের এক যাত্রী নিহত হন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘মহাসড়কটি একটি দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তায় পরিণত হয়েছে। আমরা প্রত্যেক মিটংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আলাদা করে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারপরও আমরা কোনোভাবেই দুর্ঘটনা ঠেকাতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা পরবর্তী সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’