দুই দফা দাবি নিয়ে সবশেষ এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। অবশেষে তাদের আংশিক দাবি পূরণ হওয়ায় কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান।
রোববার থেকে তারা কাজে যোগ দিবেন বলে জানা গেছে। করোনা পরীক্ষা শেষে এ দিন ২১২ জন শ্রমিক কাজে যোগ দিবেন। এসব শ্রমিকদের খনির অভ্যন্তরে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষে কাজে যোগ দেওয়ানো হবে। এর আগে শনিবার সকালে প্রথম দফায় ২১২ শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, করোনা পরীক্ষা করিয়ে প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৮৫০ জন শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে খনি অভ্যন্তরের নেওয়া হবে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির অধীনে এক হাজার ১৪৭ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেখানে খনি কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের দাবি আংশিক পূরণ করার কথা জানায়। এরপরেই শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিত করে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আংশিক দাবি পূরণ করায় আন্দোলন স্থগিত করে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে মোট ৮৫০ শ্রমিকদের মধ্য থেকে ২১২ জন শ্রমিককে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার তারা খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হবে।
‘এক সপ্তাহের কোয়ারাইন্টাইন শেষে শ্রমিকরা নিজ নিজ কাজে যোগ দেবেন। একই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৬০০ জন শ্রমিককে খনিতে কাজের জন্য নেওয়া হবে। অবশিষ্ট ২৫০ শ্রমিক পরবর্তীতে কাজে যোগ দেবেন।’