logo
আপডেট : ১৫ মে, ২০২২ ১৭:০৩
কোভিডের ভূয়া সার্টিফিকেট বাণিজ্য চক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোভিডের ভূয়া সার্টিফিকেট বাণিজ্য চক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার

হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স পরিচয়ে কোভিড-১৯ এর জাল সার্টিফিকেট বাণিজ্য চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১।

কোভিড-১৯ এর সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের সাথে প্রতারণাকারী প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে রোববার ( ১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, জসিম উদ্দিন (২৮), মাে. তারেকুল ইসলাম (২৬), মাে. আলমগীর হােসেন (২০), মাে. রিপন মিয়া (২৮), মাে. আরিফুল ইসলম (২০), আহম্মেদ হােসেন শাহাদাৎ (১৮) ও মাে. শামীম হােসেন (৩০)।

রোববার (১৫মে) দুপুরে র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান- র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ হতে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি প্রতারক চক্র বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশগামী যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো।

বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় এসে করোনার সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতারণা করতো তারা ।

তাদের কাছ থেকে ৬ পাতা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া ভূয়া কোভিড-১৯ টেষ্টের পজেটিভ এবং নেগেটিভ সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ২টি বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদান প্রদানে ব্যবহৃত সিম কার্ড, ৩টি প্রবাসীদের
মােবাইল নম্বর সম্পর্কিত টোকেন, ১টি পেনড্রাইভ, যার মধ্যে আসামীদের ডাক্তার, স্টাফ ও নার্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা, ১ টি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ৮ টি মােবাইল ফোন, ২টি হাতঘড়ি ও ২টি চশমা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী সাধারণ যাক্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট একটি আবশ্যিক বিষয়। যে সকল বিদেশগামী যাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টফিকেট প্রদর্শন করতে পারবেনা, তারা বিদেশ যাত্রা করতে পারে না। বাংলাদেশ হতে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা প্রতারণা করে আসছে।

তিনি বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ সাটিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে সমাধান করার কথা বলে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে প্রতারনামূলকভাবে বিকাশের মাধ্যম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সদস্যরা বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে নিজেদের কোভিড-১৯ হাসপাতালের ডাক্তার, স্টাফ ও নার্স পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ এর ভূয়া সাটিফিকেট দিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।

আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রত্রিয়াধীন বলেও জানা র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।