দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে এই পথ দিয়েই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি গেছেন অনেক স্বজন।
আবার ঈদ শেষে বাড়ি থেকে স্ব স্ব জায়গায় ফিরেও এসেছেন। এই ঈদযাত্রায় যানবাহন পাড় করেই সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে সাড়ে সাত কোটির বেশি টাকা।
ঈদের আগের পাঁচদিন ও ঈদের পরের পাঁচদিন অর্থাৎ ঈদযাত্রার ১০ দিনে উভয় ঘাট দিয়ে চার হাজার ৮৯৫টি ট্রিপের মাধ্যমে এক লাখ দুই হাজার ৩৫৬টি যানবাহন পারাপার করে সরকারের সাত কোটি ৫৪ লাখ আট হাজার ৬১০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগের পাঁচদিন (২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট দুই হাজার ৪৪৬টি ট্রিপে ৪৮ হাজার ৪৪৩টি যানবাহন পাড় করা হয়।
এ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ টাকা।
এরমধ্যে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় পাড় হয় এক হাজার ২২০টি ট্রিপে ৩২ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন পাড় করা হয়।
এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি বাস, দুই হাজার ৫৪৮টি পণ্যবাহী ট্রাক, ১৬ হাজার ৪৮৭টি ছোট যানবাহন ও ১০ হাজার ২৭টি মোটরসাইকেল পাড় করা হয়।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় পাড় হয় এক হাজার ২২৬টি ট্রিপে মোট ১৫ হাজার ৫৬৯টি যানবাহন।
এর মধ্যে তিন হাজার ৩৯২টি বাস, তিন হাজার ৪৪টি পণ্যবাহী ট্রাক, আট হাজার ৭৮৮টি ছোট যানবাহন ও ৩৫৪টি মোটরসাইকেল পাড় করা হয়।
ঈদের পরের পাঁচদিন (৪ মে থেকে ৮ মে) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট দুই হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে ৫৩ হাজার ৯১৩টি যানবাহন পাড় করা হয়।
এ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭০ টাকা।
এরমধ্যে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় পাড় হয় এক হাজার ২২৬টি ট্রিপে ২০ হাজার ১২১টি যানবাহন।
এর মধ্যে তিন হাজার ৯৫৭টি বাস, দুই হাজার ৯২৫টি পণ্যবাহী ট্রাক, ১০ হাজার ৫৫০টি ছোট যানবাহন ও এক হাজার ৪৬৩টি মোটরসাইকেল পাড় করা হয়।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় পাড় হয় এক হাজার ২২৩টি ট্রিপে মোট ৩৩ হাজার ৭৯২টি যানবাহন পাড় করা হয়।
যার মধ্যে তিন হাজার ৯৭৮টি বাস, তিন হাজার ১১৬টি পণ্যবাহী ট্রাক, ১৭ হাজার ৩৩টি ছোট যানবাহন ও আট হাজার ৪৪২টি মোটরসাইকেল পাড় করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদযাত্রায় বাড়ি যাওয়ার সময় পাটুরিয়া প্রান্তে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
তবে ঈদ শেষে দৌলতদিয়া প্রান্তে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
‘কিন্তু তা অন্যান্য ঈদের চেয়ে অনেক বেশি স্বস্তির ছিল। আমরা ঈদের আগে যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম তা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়েছে।
এজন্য সুশৃঙ্খলভাবে এত যানবাহন পাড় করতে পেরেছি। তাছাড়া জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে’, যোগ করেন তিনি।