মেয়ে পুলিশের এসআই, তাই তো কাউকে কেয়ার করেন না তিনি। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও হুমকি দেওয়া তাদের জন্য নিত্যদিনের ঘটনা। কেই প্রতিবাদ করলে থানায় অভিযোগ দিয়ে করেন হয়রানি।
বলছি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামের আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী হাসিনার কথা। তাদের বিচারের দাবিতে গত রোববার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী।
অভিযোগে গ্রামবাসী জানায়, আবু সাইদ ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এদের ব্যবহারে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও কোনো প্রতিকার মেলে না। শুধু তাই নয় তার মেয়ে পুলিশে চাকরি করে এমন হুমকি দিয়ে লোকজনকে দেখে নেবে বলে ভয়ভীতি দেখায়।
স্থানীয়রা জানান, মৃত তজির প্রামানিকের ছেলে আবু সাইদ ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুন দোবিলা গ্রামের মধ্যপাড়ায় থাকেন। বিনা কারণে মানুষদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অত্যাচার করে আসছেন তারা। শুধু তাই নয় তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে।
গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই আব্দুস সাত্তার ভুট্টকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এ দম্পতি। এমনকি ওই সময় ভাইয়ের কাছে থাকা মুরগি বিক্রির দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগের বিষয়ে আবু সাইদ বলেন, ‘আমার মেয়ে পুলিশের এসআই। কাউকে কেয়ার করার সময় নেই। বেশি বুঝলে দেখিয়ে দেব আমি কি পারি আর না পারি। কাউকে ভয় পাই না আমি।’
তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।