logo
আপডেট : ১৬ মে, ২০২২ ১৮:৫৭
মনোনয়ন না পেয়ে আ. লীগ থেকে পদত্যাগ চেয়ারম্যানের
সীমান্ত প্রধান, নারায়ণগঞ্জ

মনোনয়ন না পেয়ে আ. লীগ থেকে পদত্যাগ চেয়ারম্যানের

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম বাবু।

সোনারগাঁয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সোমবার দুপুরে তিনি পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান বাবু সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভাপতি ও জাতির জনকের ঘনিষ্ঠ সহচর সাজেদ আলী মোক্তারের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে বাবু বলেন, ‘দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে আমাদের পরিবার। নানা ঝড় ঝাপ্টা আমাদের ওপর বয়ে গিয়েছে। কখনই আদর্শচ্যুত হয়ে অন্য দলে যাইনি। ভবিষ্যতেও জাতির জনকের আদর্শচ্যুত হব না।’

তিনি আরো বলেন, ‘দল মনে করেছে আমি ব্যর্থ তাই আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি যেহেতু ব্যর্থ সেহেতু দলীয় পদে থাকা আমার অধিকার নেই। তবে আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক হিসেবে আজীবন থাকব।’

চেয়ারম্যান বাবুর বাবা সাজেদ আলী মোক্তার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন একজন সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯৫৪ সালে সোনারগাঁ থেকে যুক্তফ্রন্টের  এমপি নির্বাচিত হন তিনি।  ১৯৭০ এর নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন সাজেদ আলী মোক্তার। ১৯৭৩ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন একই আসন থেকে। 

ক্ষমতাসীন দলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাজেদ আলী মোক্তারের পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গেই রয়েছেন। সাজেদ আলীর পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তার চার ছেলে মোবারক হোসেন, আবুল হাসনাত, মোশারফ হোসেন ও আরিফুল ইসলাম বাবু। তাদের মধ্যে মোবারক হোসেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে দু’বার এমপি হয়েছিলেন। এ ছাড়া আবুল হাসনাতের ছেলে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতও একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আরেক ছেলে মোশারফ হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া সাজেদ আলী মোক্তারের ছোট ছেলে বাবু মোগড়াপাড়া ইউনিয়নে ২০১১ ও ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আগামী ১৫ জুন মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি। তিনি স্থানীয় আরমান হত্যা মামলার আসামি।