logo
আপডেট : ১৭ মে, ২০২২ ০৭:৫১
দিবালার বিদায়ী ম্যাচে জুভেন্টাসের ড্র
ক্রীড়া ডেস্ক

দিবালার বিদায়ী ম্যাচে জুভেন্টাসের ড্র

বিদায়ী ম্যাচে দিবালার সঙ্গে সতীর্থরা

ল্যাজিওর বিপক্ষে ম্যাচে অন্যরকম এক উৎসব করার ইচ্ছা ছিল জুভেন্টাসের। সোমবার রাতে ল্যাজিওর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গিওর্গি চিয়েলিনি ও পাউলো দিবালার বিদায় উৎসব করেছে। তবে সে উৎসবে পানি ঢেলেছে ল্যাজিওর সের্গে মিলিনকোভিচ সাভিচ। ইনজুরি সময়ে গোল করে জুভেন্টাসের জয়ের আনন্দে বাধ সেজেছেন। সে সঙ্গে বিদায় উৎসবেও। ২-২ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।

পয়েন্ট হারানোর জুভেন্টাসের কোনো সমস্যা হয়নি। শিরোপা দৌড়ে থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া সাবেক চ্যাম্পিয়নরা এবার দ্বিতীয় হতে পারছে না। তবে শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে সাভিচের গোল ল্যাজিওর দারুণ মূল্যবান হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা এ গোলের মাধ্যমে তাদের ইউরোপা লিগে তাদের খেলা নিশ্চিত হয়েছে।

আগেই চতুর্থ স্থান নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ম্যাচের শুরুতেই গোল জুভেন্টাসকে বেশ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। ম্যাচের মাত্র দশম মিনিটে ডুসান ভøাহোভিচের উড়ন্ত হেড দলকে এগিয়ে নিয়েছিল। এরই মাঝে শুরু হয় জুভেন্টাসের বিদায় উৎসব। মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় চিয়েলিনিকে। এটা ছিল জুভেন্টাসের হয়ে তার শেষ হোম ম্যাচ। তুরিনের এ ক্লাবে এ মৌসুম নিয়ে চিয়েলিন ১৮টি বসন্ত পার করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘদিনের প্রিয় খেলোয়াড়কে বিদায় জানাতে সমর্থকরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি। দাঁড়িয়ে তারা চিয়েলিনিকে বিদায় অভিবাদন জানায়।

স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলকে অনেকটাই চিন্তামুক্ত করেন। সিরি ‘এ’র সবচেয়ে সফল দলটির এ মৌসুমটা ভালো যায়নি। চতুর্থ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। তারপরও মোরাতার এ গোল সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। দুই গোলে এগিয়ে থাকায় জুভেন্টাস দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা ভারমুক্ত হয়েছিল। আর তারই সুযোগ নিতে শুরু করে ল্যাজিও। একের পর এক আক্রমণ রচনা করতে থাকে। তারই ফলে জুভেন্টাস অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ওন গোলে ব্যবধান কমায় তারা। জুভেন্টাসকে হতাশায় ডোবানোর কাজটি করেন অ্যালেক্স সান্দ্রো। বিরতির মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে এমন ঘটনায় ল্যাজিওর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তারা এক পয়েন্ট অর্জনে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে গোল পাওয়ার মতো তেমন কোনো সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি।

এদিকে জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি দিবালাকে মাঠ থেকে তুলে নেন। হোম ম্যাচে এটাও দিবালার শেষ ম্যাচ। তবে ম্যাচের শেষ কথাটি বলেন সাভিচ। ম্যাচের শেষ শটে তিনি জুভেন্টাসকে চমকে দেন। সে সঙ্গে ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত করেন।

ম্যাচে শেষে আলেগ্রি বলেন, ‘এ রাতটা ছিল আবেগপূর্ণ রাত। চিয়েলিনি ও দিবালার রাত। আমি যখন জুভেন্টাসে আসি তখন সে আমাকে দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিক হতে সহায়তা করে। গত সাত বছর ধরে দিবালার ছিল দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমি তাকে গড়ে তুলেছি। কেননা আমি যখন এখানে এসেছি তখন সে অনেক ছোটো ছিল। জুভেন্টাসের সমর্থকরা তাকে যথার্থ সম্মান দেখিয়েছে। তবে এ ম্যাচে জয় পেলো তা দারুণ ব্যাপার হতো। যাহোক আমাদেরকে আবার জয়ের ধারায় ফিরতে হবে।’