আমরা অনেকেই ওজন কমাতে ডায়েট মেনে চলি। এ সময় অনেকে কার্বহাইড্রেড বা শর্করাজাতীয় খাদ্য একদম বাদ দিয়ে দেন, যা আসলে মোটেও সমীচীন নয়। এ ধরনের ভুলের কারণে ওজন কমবে ঠিকই, কিন্তু শরীরে তৈরি হবে নানা ধরনের জটিলতা। যেমন চুল পড়ে যাওয়া।
আমাদের দেশে অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন। ডায়েটে এ ধরনের ভুলের কারণেও আপনার চুল পড়ে যেতে পারে খুব দ্রুত। এ ছাড়াও শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, কাজে শক্তি না পাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।
তাই খাদ্যতালিকায় শর্করাজাতীয় খাবার যেমন- ভাত-রুটির একটা অংশ রাখতেই হবে।
বিশেষ করে সকালের নাশতায় কার্বহাইড্রেড বাধ্যতামূলক। যদি আপনি ওজন কমানোর ডায়েট মেনে চলেন, সে ক্ষেত্রে দুপুরের খাবারেরও অল্প করে শর্করাজাতীয় খাবার রাখতে হবে। অথবা একদিন পরপরও শর্করা খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আরেক দিন সবজি, সালাদ, মাছ-মাংস, টক দই খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবারে শর্করা বাদ দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এক কাপ সবজি অথবা সালাদ, দই, আমিষজাতীয় খাবারের একটি ছোট অংশ রাখা যেতে পারে এবং ঘুমানোর আগে এক কাপ দুধ পান করতে পারেন।
আরো কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন
চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না। প্রতিদিন চুল ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। চুলে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে বেশি করে আঁচড়াতে হবে। ১০-১২ সপ্তাহ পরপর ভেঙে যাওয়া চুলের আগা ছেঁটে বা কেটে ফেলতে হবে। চাপ (স্ট্রেস) কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। এরপরও যদি সমাধান না হয়, ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।