logo
আপডেট : ১৭ মে, ২০২২ ১৬:৩১
বড় বোনকে আটকে রেখে ছোট বোনকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার এক
শেরপু‌র প্রতি‌নি‌ধি

বড় বোনকে আটকে রেখে ছোট বোনকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার এক

শেরপুরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে দল‌বেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ছোট বোন (১৮)। এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পু‌লিশ হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টু (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ক‌রে।

সোমবার সন্ধ‌্যায় সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘ‌টে। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত আলম মিয়া (২৭) পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার মন্টু লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে ও পলাতক আলম মিয়া হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও ভিক‌টি‌মের স্বজনরা জানায়, গত দুইদিন আগে গাজীপুরে বোনের শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লায় ভারা‌টিয়‌া বাসায় বেড়াতে আসেন ছোট বোন।

সোমবার বিকেলে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে ছোট বোন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য হাবিবুল্লাহ সাধু নামে এক কবিরাজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। প‌রে কবিরাজের বাড়ির কাছাকাছি একটি লেবু বাগানের ভেতর দিয়ে যাবার সময় সন্ধ্যা হয়ে যায় তা‌দের।

লেবু বাগা‌নের ভেত‌র দি‌য়ে যাওয়ামাত্রই আগে থে‌কে লুকি‌য়ে থাকা হাফিজুর রহমান মন্টু ও আলম মিয়া তাদেরকে গতিরোধ করে। পরে বড় বোন‌কে আট‌কে রে‌খে ছোট বোন‌কে তু‌লে নি‌য়ে লেবু বাগা‌নের এক‌টি কো‌ণে তারা ধর্ষণ ক‌রে।

এ সময় বড় বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ছোট বোনকে উদ্ধার করে। ত‌বে ধর্ষকরা পা‌লি‌য়ে যায়।

এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রা‌তেই নয়াপাড়া গ্রাম থেকে হাফিজুর রহমান মন্টুকে গ্রেপ্তার করে।

শেরপু‌রের অতিরিক্ত পু‌লিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ব‌লেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আলামাত উদ্ধার করে এবং এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার ক‌রে। ত‌বে এখ‌নো পলাতক র‌য়ে‌ছে আরেকজন। তা‌কে ধর‌তে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে ভিক‌টিম‌কে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’