ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৮মে) এ আদেশ দেন।
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সহযোগী এনামুল হক আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।
অবৈধভাবে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক চারটি মামলা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব মামলা করে।
এ ছাড়াও বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়। তবে সবগুলো মামলাতেই (চারটি) সম্রাট জামিন পান।
সর্বশেষ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আগামী ৯ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করে গত ১১ মে আদেশ দেয় নিম্ন আদালত।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।
তবে কারামুক্তি মিললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র না দেওয়ায় হাসপাতাল ছাড়েননি তিনি।
সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কারারক্ষী পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।