ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনের ৮৫ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো দফায় দফায় রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। তারই জবাব দিতে বুধবার প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিন দেশের ৮৫ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় মস্কো।
কূটনীতিক বহিষ্কার প্রশ্নে একটি বিবৃতি দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ৩৪ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাশিয়া ত্যাগের জন্য তাদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে জানিয়ে দিয়েছে, ফ্রান্স থেকে রাশিয়ার ৪১ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার বিষয়টি স্পষ্টতই উসকানিমূলক এবং অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে আরো জানায়, স্প্যানিশ দূতাবাসেরও ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের রাশিয়া ত্যাগ করতে হবে। রাশিয়ায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত মারকোস গোমেজ মার্টিনেজকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মাদ্রিদ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিবিদদের বহিষ্কারের বিষয়টি রাশিয়া-স্পেন সম্পর্কে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। বিপরীতে স্পেন রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
এদিকে, রাশিয়া থেকে ইতালিরও ২৪ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে
এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া না দিলেও ইতালি তাদের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘বৈরী আচরণ’ বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে মোট তিন শতাধিক রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। অনেক দেশই রুশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে। মস্কো যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়াও প্রথম থেকেই পাল্টা ব্যবস্থা নিতে থাকে। এর আগেও পোল্যান্ডের ৪৫ কূটনীতিক এবং জার্মানির ৪০ কূটনীতিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে রাশিয়া।
সূত্র: পার্সটুডে