logo
আপডেট : ২০ মে, ২০২২ ১৫:৫৬
ঢাবির কারিগরি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন ২৩ মে
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবির কারিগরি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন ২৩ মে

মাহবুব-মমিনুর, নিজাম-বাদল পরিষদ এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪ প্রতীকে (আনারস, চেয়ার, মিনার, ছাতা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন (২০২২-২৩) আগামী ২৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্ধারিত দিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২৫ পদের বিপরীতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। এর মধ্যে চেয়ার প্রতীক নিয়ে নিজাম-বাদল পরিষদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫ পদে প্রার্থী দিয়েছে, অন্যদিকে মাহবুব-মমিনুর পরিষদ ২২ টি পদে প্রার্থী দিয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছাতা প্রতীকে প্রকৌশল দপ্তরের মোঃ হাফিজুর রহমান নান্নু এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসে কর্মরত মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মিনার প্রতীকে ভোট করছেন।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮০০ জন।

কারিগরি কর্মচারীরা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব সহকারী, কম্পিউটার সহকারী, টেকনিশিয়ান, সাইন্স অ্যাটেনডেন্স, স্টোর কিপার, ড্রাইভার, লিফটম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় পাম্প, পানির লাইন, ইলেকট্রিশিয়ান, এনার্জি প্যাক অ্যাটেনডেন্স, কার্পেন্টার, সিনিয়র সেকশন কাটার এবং প্রেসে কাজ করেন।

নির্বাচনে সমর্থন কেমন দেখছেন এমন প্রশ্নে মাহবুব-মমিনুর পরিষদের মোঃ মমিনুর রহমান বলেন, মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। আমরা কোনো নেগেটিভ মন্তব্য মাঠ থেকে এখন পর্যন্ত পাইনি। মানুষ মনে করছে সমিতিতে আমাদের দরকার।

নিজাম উদ্দিন এবং বাদল জানান, আমাদের চলমান দুর্বল নেতৃত্বের কারণে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমরা নির্বাচিত হলে আশা করি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারব।

এদিকে নিজাম-বাদল পরিষদ বলছে, বৃহত্তর ঢাকা, বরিশাল, নোয়াখালী, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট তাদের সমর্থনে রয়েছে। মাহবুব-মমিনুর পরিষদ বলছে, বৃহত্তর কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ এবং বরিশাল অঞ্চল থেকে আগত কারিগরি কর্মচারীরা তাদের সমর্থন করছেন।

নিজাম-বাদল পরিষদে যারা

সভাপতি পদে প্রকৌশল দপ্তরের (বিদ্যুৎ) মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিসংখ্যান বিভাগের মোঃ সামসুল ইসলাম (বাদল), সহ সভাপতি পদে লেদার ইনস্টিটিউটের মোঃ এনায়েত কবির, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের মোঃ মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয় একাত্তর হলের মোঃ আকবর হোসাইন এবং প্রকৌশল দপ্তরের (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে রসায়ন বিভাগের কাজী মোঃ ইকবাল, মহিলা সম্পাদক পদে লেদার ইনস্টিটিউটের তাছলিমা আক্তার, সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রকৌশল দপ্তর (বিদ্যুৎ) মোঃ জুলহাস হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রকৌশল দপ্তরের (সিভিল) মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে একই দপ্তরের মোঃ জাফর সিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে কুয়েত মৈত্রী হলের মোঃ শেখ রাসেল আহসান রিফাত, দপ্তর সম্পাদক পদে প্রকৌশল দপ্তরের (সিভিল) মোঃ কুদ্দুস রানা।

সদস্য পদে মোট ১২ জন হলেন: মোঃ শহীদুল ইসলাম, বাদল রায়, তোফাজ্জেল হোসেন, মোঃ বাহার উদ্দিন, মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, মোঃ আবুল খায়ের কায়েস, বিধু ভূষণ দাস, মোঃ আবু সালেহ, শাহ মোহাম্মদ সোহেল রানা, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ মহসিন।

মাহবুব-মমিনুর পরিষদে যারা

সভাপতি পদে প্রকৌশল দপ্তরের (সিভিল) মোঃ মাহবুব সরকার, সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের মোঃ মমিনুর রহমান মমিন, সহ সভাপতি পদে প্রকৌশল দপ্তরের (বিদ্যুৎ) মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং পরিবহন অফিসের মোঃ মাসুদুর রহমান দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক পদে ক্লিনিকাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের মোঃ আলাউদ্দিন এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মোঃ শামসুল আলম ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে রসায়ন বিভাগের মোঃ আল আমিন, মহিলা সম্পাদক পদে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শাহনাজ পারভীন, সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের গাজী মোঃ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সূর্যসেন হলের মোঃ ইয়াছিন আলী, প্রচার সম্পাদক পদে বিজ্ঞান কারখানার লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, ক্রীড়া সম্পাদক পদে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে প্রাণ রসায়ন ও অনুরাগ বিজ্ঞান বিভাগের মোঃ আনাস আহমেদ।

সদস্য পদে: মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সেলিম খান মিন্টু, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ নুরুল আফসার ভূঁইয়া, মোঃ শাহিনুর আলম, মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, বিমল চন্দ্র দাস।