লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ভোজ্যতেলসহ দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধির পায়তারাকে গণবিরোধী ও সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ। তাই অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধ না করলে দেশপ্রেমিক জনগন ও রাজনৈতিক শক্তিকে সাথে নিয়ে হরতাল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী দেবে লেবার পার্টি।
শুক্রবার(২০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধি বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা সংকট এখনো দেশব্যাপী কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। এসময় বিদ্যুৎ এর দাম বাড়লে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও সেবা খাতে খরচ বাড়বে। নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে। মানুষের মাসিক খরচ বাড়বে। যা বহন করার সক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। ‘বিদ্যুতের মুলা‘ ঝুলিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টালসহ অনেক অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের কথা না শুনে এই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্ধিত ও অহেতুক খরচের টাকা জনগণের পকেট থেকে তুলতে দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে।
বিদ্যুৎসহ জ্বালানী খাতের দুর্নীতি ও ভুলনীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বলেন, সরকার ও কিছু ব্যক্তির ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।
ডা. ইরান তেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারী কালোবাজারী সিন্ডিকেট মজুতদারদের বিচার, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের মজুত গড়ে তোলা, টিসিবি’র পণ্য অন্তত তিন কোটি ঘরে পৌঁছে দেয়া, সারাদেশে রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবিতে লেবার পার্টির চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করার আহ্বান জানান।
লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এনডিপি চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, ইসলামী ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমীন, দেশ বাঁচাও আন্দোলনের রকিবুল ইসলাম রিপন, এনডিএমের নুরুজ্জমান হীরা, মুসলিম সমাজের মাসুদ হোসেন, জাস্টিস পার্টির আবুল কাসেম, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবীর, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।