বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অচিরেই আলোচনায় বসায় জন্য আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় সাভার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস ও সাভার উপজেলা প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হয়। নির্বাচন আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এখানে আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন লাগবে। ভোটের মধ্যে সহিংসতা আমাদের নির্বাচনের সংকট নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক সংকট। এই চর্চা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘একটি ভোট নির্ধারণ করে সংবিধান কিভাবে এবং কাদের দারা গঠিত হবে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংসদ কেন প্রয়োজন সেটি আমরা সবাই জানি। সংসদ হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে মানুষের অধিকার নিয়ে মুক্তভাবে কথা বলা যায়।’
সিইসি আরো বলেন, ‘সংসদের বাইরে অনেক সময় ভালো কথা বললেও তিনি গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সংসদের ভেতরে একজন সাংসদ যে কথাই বলুক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এটাকে বলা হয়, কনস্টিটিউশনাল প্রিভিলেজ বা যেকোনো বক্তব্য সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ বলার মুক্ত অধিকার ব্রেঞ্চ।’
ইভিএম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএমের সক্ষমতা কতটুকু দরকার সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে ইভিএম কেনা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদারসহ অনেকে।