logo
আপডেট : ২১ মে, ২০২২ ১৮:২৫
ত্রাণ নিতে এসে ‘লাঠিপেটার’ শিকার
কামরুল ইসলাম মাহি, সিলেট

ত্রাণ নিতে এসে ‘লাঠিপেটার’ শিকার

সিলেটে কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ত্রাণ নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন বানভাসি মানুষ। শনিবার সকালে উপজেলার থানা বাজার পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।

জানা গেছে, শনিবার সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকার বন্যাকবলিত গ্রাম পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে যান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের খবরে সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হন হাজারো মানুষ।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০০ প্যাকেট ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়। ৪-৫ জনের হাতে প্যাকেট তুলে দিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ইমরান। এপরপর তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ত্রাণ নিয়ে বনার্তদের মাঝে কাড়াকাড়ি ও হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে।

কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি গ্রামের বাসিন্দা হাসমত বলেন, ঘরে এক সপ্তাহ ধরে পানি। খাবারো নেই। মন্ত্রী ত্রাণ নিয়ে এসেছেন শুনে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু ত্রাণ তো পাইনি, উল্টো পুলিশের মার খেলাম।

তবে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘ত্রাণের প্যাকেট সীমিত সংখ্যক। এ সময় উপস্থিত মানুষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ তাদের শান্ত করেছে। কাউকে লাঠিপেটা করেনি।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘আমরা আজকে ত্রাণ বিতরণের জন্য ১২০ জনের তালিকা করেছিলাম। তবু ২০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী রাখা হয়েছিলে। কিন্তু তালিকার বাইরেও প্রচুর মানুষ এসে যাওয়ায় একটু ঝামেলা হয়েছে।’

সিলেট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আট ধরনের পণ্য সামগ্রী দিয়ে ২ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’

এদিকে মন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের সব দুর্যোগে জনগণের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। বর্তমানে সিলেটে আকস্মিক বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে আছেন।’

ত্রাণ বিতরণকালে মন্ত্রীর আরো বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য যা যা করার প্রয়োজন তার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আমার ঐচ্ছিক তহবিল থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় আরো ১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক প্রমুখ।