নব্বইয়ের দশকের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি। ‘দিল’, ‘চিত্রানদীর পারে’, ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘প্রিয়তমেষু’র মতো চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। অনেক দিন হলো নাটক বা চলচ্চিত্রÑ কোনো মাধ্যমেই দেখা যায়নি মিমির অভিনয়। বরং পরিচালনায় মনোযোগী হয়েছেন বেশি। সেই মিমিকে এবার পাওয়া গেছে বড় পর্দায়। মুক্তি পেয়েছে ‘পাপ-পুণ্য’ সিনেমা।
এখানে ‘পারুল বানু’ নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিমি। এ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ‘সেলিম আমার খুব ভালো বন্ধু। ওর প্রথম লেখা ও পরিচালনায় কাজ করেছি আমি। পাপ-পুণ্যের মাধ্যমে এই প্রথম তার পরিচালিত সিনেমায় কাজ করলাম। আমি যখন মনস্থির করলাম অভিনয়ে আবার নিয়মিত হব, তখনই সেলিম আমাকে তার সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব করে।
আমি বললাম, ঠিক আছে করব। সেলিম প্রথমটায় বিশ্বাস করতে চায়নি। ভেবেছিল, আমি কথার কথা বলেছি। ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবারো একদিন বলল, তুমি সত্যিই অভিনয় করবে তো? আমি বললাম, হ্যাঁ, সত্যিই করব।’
এই সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে মিমি পেয়েছেন দুই প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের। এর মধ্যে অন্যতম মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ।
মিমি বলেন, ‘মামুনুর রশীদ ভাই আমার প্রথম অভিনীত নাটকের নায়ক ছিলেন। চঞ্চলের মতো গুণী অভিনেতার সঙ্গে এই প্রথম কাজ হলো। শুটিংয়ের ফাঁকে আমরা প্রচুর গল্প করতাম। আমাদের আলাপে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসত। অভিনেতা পরিচয়ের বাইরে এই দুজনকে আমি নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি।’
পাপ-পুণ্যের বেশির ভাগ শুটিং হয়েছে চাঁদপুর। সেখানে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার আগেই সহশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও সিয়ামের আন্তরিকতায় মন গলে যায় আফসানা মিমির। সেই গল্পটা ছোট করে আফসানা মিমি এভাবে বললেন, ‘রাত ২টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে নামি।
ভেবেছিলাম, প্রডাকশন ম্যানেজার আমাকে নিতে আসবে। কিন্তু লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখি ওই রাতে চঞ্চল, সিয়াম ও সেলিম আমাকে নিতে এসেছে। আমার মনে হচ্ছিল- যেন নতুন পরিবার পেয়েছি।’ নিয়মিত অভিনয় করেন না বহু বছর। তবু এই প্রজন্মের দর্শকরাও তাকে ভীষণ ভালোবাসে। কেন?
আফসানা মিমি বলেন, ‘ইউটিউবের সুবাদে এখনকার জেনারেশন ৩০ বছর আগের কাজগুলোও দেখে। আমার অভিনীত নাটক-সিনেমা নিয়ে আজো কথা বলে।’ নূর ইমরান মিঠুর পরিচালনায় ‘পাতাল ঘর’ নামে আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন মিমি। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায়।