কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। আসিফ রাজি না হওয়ায় তার বাসায় গিয়ে আসিফের স্ত্রী মিতুর কাছে বিয়ের অনুমতি চেয়েছিলেন দীপা। এমনকি বিয়ে না করলে দীপা আত্মহত্যা করবেন বলেও আসিফের মনে হয়েছিল।
সোহেল অটলের লেখা কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নটআউট’-এ ওঠে এসেছে এসব তথ্য। সাহস পাবলিকেশন্স থেকে সম্প্রতি বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইয়ে আসিফ ও দীপার প্রেমের উপাখ্যান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক সোহেল অটল।
বই পড়ে জানা যায়, শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আমেরিকা ট্যুরে গিয়ে আসিফ-দীপার ঘনিষ্ঠতা হয়। তাদের প্রেমের সূত্রপাত সেখান থেকেই। টানা কয়েক বছর প্রেম করার পর আসিফ আকবরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন দীপা খন্দকার। আসিফকে তার স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে আসার জন্যও বলেছিলেন দীপা।
‘আকবর ফিফটি নটআউট’ বইয়ের ২৫১নং পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, এক দিন রাত ২টার সময় আসিফের সঙ্গে তার বাসায় যান দীপা খন্দকার। সেখানে গিয়ে আসিফের স্ত্রী মিতুর কাছে বিয়ের অনুমতি চান তিনি।
বইয়ে লেখা, “দীপা বললেন, ‘আসলে আমেরিকা থেকে আমাদের সম্পর্কটা শুরু হয়। এখন ও আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না।
বলছে- দুই দিক একসাথে সামলাতে পারবে না। আপনি আমাদের বিয়ে করার অনুমতি দিন প্লিজ’।’’ বইয়ের সূত্রে জানা যায়, আসিফের স্ত্রী তাকে বিয়ের অনুমতি দেননি। তার কিছুদিন পরই দীপা খন্দকার বিয়ে করেন নির্মাতা শাহেদ আলী সুজনকে। আসিফের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তড়িঘড়ি করে সুজনকে বিয়ে করেন দীপা।
‘আকবর ফিফটি নটআউট’ বইয়ের সূত্রে আরো জানা যায়, দীপা খন্দকারকে আমেরিকা পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন আসিফ। সেখানেই বিয়ে করে রাখতে চেয়েছিলেন দীপাকে। দীপা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বই পড়ে জানা যায়, দীপা খন্দকারের সঙ্গে সিরিয়াস প্রেম ছিল আসিফ আকবরের।
বইয়ের ৩৬২ পৃষ্ঠায় দীপা নিয়ে লেখা আছে- ‘দীপার কথা ভাবলে মনে হয়, দীপা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে ছিল বলেই তাকে ভালোবেসেছিলেন। শ্রদ্ধাবোধ থেকেই দীপার প্রতি অনুরক্ত হয়েছিলেন। দীপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কটা নেই আসিফের, তবে শ্রদ্ধাটা রয়ে গেছে।’ দীপা ছাড়াও অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কগুলো ওঠে এসেছে বইটিতে।