logo
আপডেট : ২৪ মে, ২০২২ ১৮:২১
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভয়ঙ্কর ১ কিলোমিটার
আমীর হামজা, হবিগঞ্জ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভয়ঙ্কর ১ কিলোমিটার

হবিগঞ্জ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এক কিলোমিটার অংশ ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি হলেই এই স্থানটিতে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঈদের পর থেকে গত ২০ দিনে ওই স্থানে অন্তত ১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত ওই সড়কের যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, ঈদের আগে ওই অংশটি সংস্কার করা হয়। তখন বেশি পরিমাণে বিটুমিন দেওয়ার কারণেই পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে অংশটি। তবে পুনরায় সেটি সংস্কারের কথা জানান তারা।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর অংশে বেশ কিছু খানাকন্দের সৃষ্টি হয়। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই অংশের সংস্কার কাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ- সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে সড়ক বিভাগ। সড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাথরকুচি ও বালি ব্যবহার করা হয়নি। যে কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় বিটুমিন পড়ায় বৃষ্টি হলেই সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে যায়।

পরিবহন চালকদের দাবি, মহাসড়কের নূরপুর অংশে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাদের কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখা একেবারেই সম্ভব হয় না। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

ট্রাকচালক মো. শিপন মিয়া বলেন- সড়ক মেরামতের সময় পরিমাণমতো পাথর ও বালু দেওয়া হয়নি। এখানে বিটুমিন বেশি দেওয়া হয়েছে। রোদ হলে বিটুমিন গলে যায়। এতে গাড়ির চাকা স্লিপ করে। আবার বৃষ্টি হলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এ সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয় না।

বাসচালক আব্দুল হক বলেন, আমরা নিয়মিত এই সড়কে গাড়ি চালাই। যে কারণে এখন এখানে আসলেই গতি কমিয়ে সাবধান হয়ে যাই। কিন্তু নতুন চালক নুরপুর অংশে ঢুকলেই তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

হাইওয়ে থানা পুলিশ বলছে, ঈদের পর এ অংশে অন্তত ১২টি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর স্থানীয়দের হিসেবে ১৫টির বেশি। এছাড়া অসংখ্য মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক যাত্রী।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমদ বলেন- ‘মহাসড়কের নুরপুর অংশটি ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে গত ২০ দিনে অন্তত ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে এই অংশটি নিয়ে আমরা বেশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছি। তবে আমরা যতটা পারি পরিবহন চালকদের সতর্ক করার চেষ্টা করছি।’

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম বলেন- ‘মহাসড়কের নুরপুর অংশের বিষয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বলেছেন দ্রুত এটিকে সংস্কার করে দেবেন।’

হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘সংস্কার কাজের পরপরই বৃষ্টি হওয়ার কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কের ওই অংশটি মেরামত করে দেওয়া হবে।’