কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের প্রথম অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়‘ এর প্রথম চারটি গান নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। গানগুলো রাজেশ-প্রদীপের নাকি ইথুন বাবুর- সে বিতকর্কের ফয়সালা হলো শিল্পীর বায়োগ্রাফি ‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ এর মাধ্যমে। সোহেল অটল এর লেখা এই বায়োগ্রাফিতে উঠে এসেছে এ প্রসঙ্গের বিস্তারিত।
বইয়ের ২৮৫ পৃষ্ঠায় এ বিষয়ে লেখা হয়েছে--
“প্রদীপ সাহা এবং রাজেশের বক্তব্য রীতিমতো সাম্প্রদায়িক। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর এমন কোনো হুমকি নেই যাতে তাদের মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে।
ইথুন বাবুর বক্তব্য শুনে যেমন মনে হয় তিনি নৈতিকভাবে কোথায় যেন দুর্বল আছেন; তেমনি রাজেশ-প্রদীপের মিনমিন প্রমাণ করে, তারাও কোথায় যেন নৈতিকভাবে দুর্বল।
দেশের মানুষের আর এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য শোনা হয় না। এই ত্রয়ীকে যারা দীর্ঘদিন ধরে চেনেন-জানেন, তারা একটা সিদ্ধান্তে গেলেন। তাদের ধারণা, গান চারটি রাজেশ-প্রদীপেরই। তবে তারাই গানগুলো টাকার বিনিময়ে এক সময় ইথুন বাবুর কাছে বিক্রি করেছিলেন। যদিও টাকার বিনিময়ে মেধাস্বত্ত্ব বিক্রি হয় না। তখন এ ব্যাপারে তাদের তিনজনের মধ্যে একটা সমঝোতা হয়েছিল, যেন ব্যাপারটা আর কেউ না জানে।
দিন বদলেছে। তখন ইথুন বাবু শক্ত অবস্থানে ছিলেন। এখন রাজেশ প্রদীপও শক্ত অবস্থানে। সঙ্গত কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ডে নিজেদের হিস্যা দাবী করছেন রাজেশ-প্রদীপ। মাঝখান থেকে চিপায় পড়েছেন আসিফ। বেচারা দুর্বলের প্রতি অবিচার রুখতে গিয়ে নিজেই অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গানগুলো রাজেশ-প্রদীপের বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার পরেও সেখান থেকে সরে আসেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। এ ব্যাপারে রাজেশ-প্রদীপ গণমাধ্যমে জানান, গানগুলো তাদেরই কিন্তু হিন্দু মানুষ বলে কোনো দ্বন্দে জড়াতে সাহস পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ইথুন বাবু দাবী করেন, গানগুলো তার লেখা ও সুর করা। তিনি গানগুলো নিজের নামে কপিরাইটও করে নিয়েছেন।
অবশেষে ‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ বইয়ে লেখক সোহেল অটল- এর তদন্তে চারটি গানের ব্যাপারে একটা ফায়সালা উঠে এসেছে। বইটি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সাহস পাবলিকেশন্স। সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের মাদকাসক্তি নিয়েও বিস্তারিত উঠে এসেছে বইটিতে। সেখানে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ সব ড্রাগে আসক্ত সঙ্গীতাঙ্গণের বেশিরভাগ।