শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তিনজনই। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান।
ব্যাট হাতে স্বপ্নের মতো সময় কাটছে লিটন কুমার দাসের। টেস্টে তার ধারাবাহিকতা অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য উদাহরণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের ফোয়ারা বয়ে দিচ্ছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও হেসেছিল তার ব্যাট, যার পুরস্কার পরের সপ্তাহেই পেলেন লিটন। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে তার।
গত সপ্তাহের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। বুধবার তা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সাপ্তাহিক হালনাগাদে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের।লঙ্কানদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এই ইনিংস দিয়ে তিন ধাপ এগিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, ১৭তম স্থানে আছেন তিনি।
ড্র হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টের এক ইনিংসেই ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ, তিন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ৪৬৫ রান তোলে ঘরের মাঠের দলটি। ওই ইনিংসে ১০৫ রানের মহাকার্যকর ইনিংস খেলেন মুশফিক। এই পারফরম্যান্সে চার ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে উঠে এসেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
একই ইনিংসে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম, খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। বাঁহাতি এই ওপেনার এগিয়েছেন ছয় ধাপ, ২৭ নম্বরে আছেন তামিম। মিরপুর টেস্ট আমলে নেয়া হয়নি এই র্যাঙ্কিং। তা ধরলে আরও কয়েক ধাপ এগোবেন লিটন ও মুশফিক তা সহজেই অনুমেয়। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের ২৭২ রানের জুটি উঠেছে রেকর্ড বইয়ে। দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। মুশফিক তো অপরাজিত ছিলেন ১৭৫ রানের চরম ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে। সেখানে লিটন দাসও খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস। টেস্ট ক্যারিয়ারে লিটনের আগের সেরা ইনিংস ছিল ১১৪ রান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, ২০২১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে। সেখানে মিরপুরে এবার তিনি করেছেন ১৪১ রানের ইনিংস। ২৪৬ বলের ইনিংসে লিটন হাঁকিয়েছিলেন ১৬টি চার ও একটি ছক্কা।
উন্নতি হয়েছে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের। ১৯৯ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২১ নম্বরে আছেন। কুশল মেন্ডিস চার ধাপ এগিয়ে ৪৯ নম্বরে আছেন। দিনেশ চান্দিমাল এগিয়েছেন ছয় ধাপ, ৫৩ নম্বরে আছেন তিনি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে সাকিব আল হাসানের। চট্টগ্রাম টেস্টে ৪ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার এক ধাপ এগিয়ে ২৯ নম্বরে আছেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করা বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান ৯ ধাপ এগিয়ে ৫৩ নম্বরে আছেন।
চট্টগ্রাম টেস্টের মাঝপথে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব হিসেবে নেমে ৪ উইকেট শিকার করা কাসুন রাজিথা এগিয়েছেন ১৪ ধাপ (৬১তম)।
ছেলেদের আইসিসি র্যাঙ্কিং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় প্রতি বুধবার। এই সপ্তাহে শুধু চট্টগ্রাম টেস্টের পারফরম্যান্সই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। চলতি মিরপুর টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় থাকবে পরের সপ্তাহের র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে আগের মতোই শীর্ষে আছেন মার্নাস লাবুশেন, বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্যাট কামিন্স।