জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মোশাররফ হোসেন হলের গেস্টরুমে তুলে নিয়ে এক ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মীর নাম রাজু হাসান রাজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন-সাগর সিদ্দিকী, মুরাদ হোসেন, সোহেল শাহ। তারা প্রত্যেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মী।
মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মী রাজু হাসান রাজন বলেন,'আমি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে ভাড়া থাকি। আজ সাগর সিদ্দিকী ও তার সঙ্গীরা আমাকে সেখান থেকে তুলে আনে। পরে মীর মোশাররফ হোসেন হলের গেস্টরুমে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়। গেস্টরুমে তারা আমাকে মারধরও করে।'
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মীর মোশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ কর্মী সাগর সিদ্দিকী বলেন,'মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কিছু গোষ্ঠী কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।আমরা তাকে ডেকে এনে অস্থিতিশীলতা তৈরির কারন জানতে চেয়েছি।'
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো.আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন,'মারধরের ঘটনা ঘটেছে এটি মিথ্যা। তারা সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল বের করে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখানে তারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এবং,দীর্ঘ দিন ধরে ক্যাম্পাসকে তারা নানাভাবে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করে আসছে। সে আর কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টি না করার জন্য মুচলেকা দিয়ে গেছে। তবে তাকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ভোরের আকাশকে বলেন,'আমাকে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমি সাথে সাথে বিষয়টি খোজ নিয়েছি। মারধরের ঘটনা ঘটেছে এমন কিছু জানতে পারিনি। এখনো প্রর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'