logo
আপডেট : ২৮ মে, ২০২২ ১৮:২২
শেষ হলো তিনদিনব্যাপী বিডিসিগ
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫৮ শতাংশ দেশের মোট ব্যান্ডউইথের: নাসিম পারভেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫৮ শতাংশ দেশের
মোট ব্যান্ডউইথের: নাসিম পারভেজ

৬ষ্ঠ বারের মতো ইন্টারনেট বিশ্বের অংশীজনের অংশগ্রহণে শেষ হলো বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ)।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন এর যৌথ উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী বিডিসিগ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির সিস্টেম ও সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, এনডিসি বলেন ‘সরকার এক দেশ এক রেট চালু করেছে।

স্থানীয় পর্যায়ে এবং প্রান্তিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করা। যদিও সাধারণভাবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫৮ শতাংশ দেশের মোট ব্যান্ডউইথের।

তিনি বলেন, বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন, টেলিযোগাযোগের সম্প্রসারণ, মোবাইল প্রযুক্তি এবং প্রত্যন্ত, উপকূলীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট-ভিত্তিক ডিজিটাল ডাক পরিষেবার প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করছে।

হাওর ও পার্বত্য এলাকা, দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক প্রকল্প, হাওর ও দ্বীপসমুহে হাই-স্পিড মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, হাওর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণ কার্যক্রম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইজিএফ’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম বজলুর রহমান বলেন, বিআইজিএফ, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করছে। বিআইজিএফ জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান সংরক্ষণ, জ্ঞান প্রচার এবং জ্ঞান ব্যবহার-এর জন্য সরকারের সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপ ও আলোচনা সভা পরিচালনা করে। এছাড়া বিডিএসআইজি স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে ২৬ মে শুরু হওয়া বিডিসিগ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু, এমপি। তিনি তিনদিনব্যাপী ৬ষ্ঠ বিডিসিগ এর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তবে ইন্টারনেট সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়া উচিত এবং সবার জন্য সমানভাবে তা নিশ্চিত করা উচিত। ডিজিটাল ব্যবধান কমাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সম্ভব হলে ডিজিটাল ডিভাইড এর মূল্য কমাতে হবে। আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে অন্যান্য ডিভাইস সবার জন্য সহজলভ্য করা উচিত।