তখন তার বয়স মাত্র ৬ বছর। মিষ্টি কথা আর চঞ্চলতায় মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। তখন তাকে সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসেন কাজী হায়াৎ। সিনেমার নাম ‘কাবুলিওয়ালা’। প্রথম সিনেমায় শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেই নজর কাড়েন সবার। জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
হ্যাঁ, তিনি প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোটবেলাতেই যিনি তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। তবে সেটা একযুগ আগের কথা। এখন দীঘি পরিণত। পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হিসেবেও তার অভিষেক হয়েছে। গত বছর তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’ মুক্তি পায়। এরপর উপহার দেন ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’।
এবার দীঘি আসছেন নতুন পরিচয়ে, নতুন প্ল্যাটফর্মে। ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক হচ্ছে তার। আগামী ২ জুন ‘চরকি’তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দীঘির প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘শেষ চিঠি’। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন ধর। সিনেমাটিতে দীঘি অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা ইয়াশ রোহানের বিপরীতে।
শুক্রবার (২৭ মে) প্রকাশিত হয়েছে ওয়েব ফিল্মটির টিজার। এতে দীঘিকে কখনো দেখা গেছে লাজুক হাসিতে, কখনো আবার উদাস চাহনিতে জানান দিয়েছেন বেদনার। টিজারটি নিয়ে চরকি বলেছে, ‘তুলি আর শ্যামলের ছোট্ট পরিবারের ছোট্ট গল্প’। অর্থাৎ গল্পটা দীঘি ও রোহানকে ঘিরেই এগোবে।
টিজার শেয়ার করে দীঘি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শেষ চিঠি। অনেক ভালোবাসা চাই আপনাদের।’ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ওয়েব ফিল্মে যুক্ত হন দীঘি। তখন বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি বেছে বেছে ভালো কাজই করতে চাই। এই সিনেমাটিও তেমনই। গল্পটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার বিশ্বাস, ইয়াস-দীঘি জুটিকে দর্শক গ্রহণ করবে।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বহুল আলোচিত সিনেমা ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব অ্যা ন্যাশন’। এখানে দীঘি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ছোটবেলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তার আরেকটি সিনেমার কাজ চলমান রয়েছে।