logo
আপডেট : ৩০ মে, ২০২২ ১০:৪৭
জমজমাট রাজশাহীর ‘বানেশ্বর’ আমের হাট
তারেক মাহমুদ, রাজশাহী

জমজমাট রাজশাহীর
‘বানেশ্বর’ আমের হাট

জমে উঠেছে বানেশ্বরের আমের হাট

দেশের অন্যতম বৃহত্তম বানেশ্বরে আমের হাট জমে উঠেছে। এ হাটে প্রতিদিন উঠছে কয়েক হাজার মণ আম।

এ বছর আমের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম কিছুটা চওড়া। গত বছরের চেয়ে এবার আমের দাম মণ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি।

আর উৎপাদন কম হলেও দাম ভালো থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানাচ্ছেন চাষিরা।

গোপালভোগ ও লক্ষণভোগের পর হাটে এসেছে ল্যাংড়া আম। আমের চাহিদা বাড়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন রাজশাহীর এই হাটে।

রাজশাহীর হাটবাজারগুলোতে এখন তিন প্রজাতির আম উঠেছে। আর অন্য আমগুলো কিছুদিন পরে পাওয়া যাবে।

রোববার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, বানেশ্বর বণিক সমিতির মাঠ থেকে শুরু করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে আমের ভ্যানগুলো।

চাষি ও পাইকারদের দাম দরের চিত্র। কথা হয় বানেশ্বর বাজারের কয়েকজন আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।

তারা জানান, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন আম নিতে।

এখান থেকে এখন প্রতিদিন ৩০টি ট্রাক আম যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। দুই-চার দিনের মধ্যে ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে হাট ও বাজারে বিভিন্ন জাতের গুটি আম, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম উঠেছে।

গোপালভোগ ও হিসাগর আমের দাম মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি। আর গুটি ও লক্ষণভোগের দাম বাড়েনি।

হাটে গোপালভোগ মণপ্রতি ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা। লক্ষণভোগ ৮০০ থেকে ১৪০০ ও গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে।

আর ল্যাংড়া আম মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

বানেশ্বর হাটে গোপালভোগ আম নিয়ে এসেছেন বেলাল উদ্দিন তিনি জানান, এবার বাগানে আম অনেক কম এসেছে। দাম ভালো হলেও উৎপাদন কম হওয়ায় আশানুরূপ লাভ হবে না।

গাছের পরিচর্যা, কীটনাশক লেবার খরচ, পরিবহণ ভাড়াসহ অনেক খরচ হয়। তিনি জানান, এখন গাছ থেকে গোপালভোগ ও হিমসাগর আম নামাচ্ছি। অন্য আমগুলো কিছুদিন পরে নামাব।

বানেশ্বর হাটের আম ব্যবসায়ী রাজিব উদ্দিন জানান, কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড গরম এই গরমে আম তাড়াতাড়ি পেকে যাচ্ছে।

একদিকে আমের উৎপাদন কম তার ওপর গরম। কয়েকদিন থেকে আমের সরবরাহ বেশি বেড়েছে। এখন দেশের বাইরের অনেক পাইকার এসেছে।

শফিকুল ইসলাম নামের আরেক পাইকার জানান, হাটে এখন প্রতিদিন ৩০টি ট্রাকের মতো আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে।

এর সংখ্যা দিনে দিনে আরো বাড়বে। ফজলিসহ আরো কিছু আম আর কিছুদিন পরে পাওয়া যাবে।