দীর্ঘ ১৮ বছর চালু থাকার পর, হুট করেই বন্ধ হয়ে গেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ব্যবস্থা।
এতে করে হতদরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা মাদরাসা বিমুখ হচ্ছে, বঞ্চিত থাকছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে।
এসব শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধে পুনরায় উপবৃত্তি চালুসহ আগামী বাজেটে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর জন্য আলাদা বাজেট রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষক ঐক্যজোট৷
আজ সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মোখলেছুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা।
কিন্তু চলতি বছরের গত ২৩ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপবৃত্তি সুবিধাভোগীদের যে তালিকা চাওয়া হয় সেখানে শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা উল্লেখ আছে।
তাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকা গ্রহণ করছে না।
অথচ ২০০৩ সাল থেকে ঝরে পরা হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো উপবৃত্তিসহ সকল সুবিধা ২০২১ সাল পর্যন্ত চালু ছিল ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য।
কিন্তু ২০২২ সালে উপবৃত্তি আর্থিক সুবিধা না থাকায় এসব মাদরাসা শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
ফলে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় পড়ালেখা করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।'
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার কোমলমতি হতদরিদ্র শিক্ষার্থী ঝরে পরা রোধ করে পুনরায় প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের ন্যায় উপবৃত্তি চালু করাসহ আসন্ন বাজেটে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এই শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।
বন্ধ হওয়া উপবৃত্তি সুবিধা দ্রুত চালু করার দাবিতে আগামী ৫ জুন দেশের প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এই সংগঠন।
এ ছাড়া ১৫ জুন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিও পালন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।