logo
আপডেট : ৩০ মে, ২০২২ ১৪:২৬
মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমাণ করে তারা জনগনের সরকার নয়: মোস্তফা ভুইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমাণ করে তারা জনগনের সরকার নয়: মোস্তফা ভুইয়া

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাপ ‘গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ : খাদ্য পণ্যের দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ মানববন্ধন কর্মসূচী

বর্তমান সরকার দেশের জনগণ নয়, ব্যবসায়ী আর লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমাণ করে তারা জনগণের সরকার নয়।

জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কোনো চিন্তাই তাদের মাথায় নাই।

সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ‘গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ : খাদ্য পণ্যের দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কথা রাখেন নাই’, মৎস মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তিন বেলা গরুর মাংস খেতে পারে’ তখন বুঝতে হবে সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীদের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই।

তারা শুধুমাত্র লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত। লুটেরাদের অবস্থান দেখে তারা জনগণের অবস্থা বিচার করছে।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দিশেহারা।

সরকার পণ্যের দামের এই ঊর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কেননা সরকারের পরিচালিত সিন্ডিকেটই মূল্য বৃদ্ধি করেছে।

তাই সরকার এই দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি রোধ করতে না পারলেও নতুন করে গ্যাস আর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পায়তারা করছে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে বহুগুণিতক হারে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে।

ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

বাজার অর্থনীতি অব্যাহত রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের আচরণেই প্রমাণিত হয় এই সরকার দুর্নীতিবাজ, আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে।

জনগণের কাছে এরা দায়বদ্ধ নয়। দুর্নীতি, লুটপাট, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম, টাকা পাচার আর মেগা প্রজেক্ট দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে।

স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফোরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহসভাপতি জীবন নাহার, আসমা মল্লিকা, যুগ্ম সম্পাদক মির্জা তাহমিনা রহমান প্রমুখ।