logo
আপডেট : ৩০ মে, ২০২২ ২০:৩৪
জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদনের শুনানি ৬ জুন
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদনের শুনানি ৬ জুন

জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আবেদনের ওপর আগামী ৬ জুন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।


এর আগে গত ২৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত সম্রাটের আবেদনের ওপর ৩০ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন। এ কারণে গতকাল নির্ধারিত দিনে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপিত হলে আদালত ৬ জুন দিন ধার্য করেন।


হাইকোর্ট গত ১৮ মে এক আদেশে সম্রাটকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেন এবং তাকে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৩০ মে তার আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তিনি ২৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাকে আবারো কারাগারে পাঠানো হয়। আগামী ৯ জুন নিম্ন আদালতে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।


দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সহযোগী এনামুল হক আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে। অবৈধভাবে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক চারটি মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব মামলা দায়ের করে। এছাড়াও বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।

তবে সবগুলো মামলাতেই (চারটি) সম্রাট জামিন পান। সর্বশেষ গত ১১ মে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আগামী ৯ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয় নিম্ন আদালত। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান সম্রাট। তবে কারামুক্তি মিললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র না দেওয়ায় হাসপাতাল ছাড়েননি তিনি। সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কারারক্ষী পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।