logo
আপডেট : ২ জুন, ২০২২ ১২:৪৭
ওয়াশিংটনে সংলাপে বসছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ওয়াশিংটনে সংলাপে বসছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

প্রতীকী ছবি

ওয়াশিংটনে আজ উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপে বসবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। সংলাপে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগ, আইসিটি, টেলিকম, ডিজিটাল খাতসহ শ্রমিকের কর্ম পরিবেশ, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমখাত ভিত্তিক নায্যতা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়েই আলোচনা করবে উভয় দেশ।

উভয় দেশের সরকারি হাই অফিসিয়াল ও বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা এ নিয়ে চার দফায় চরটি সেশনে আলোচনা করবেন। উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিত এ ধরণের অর্থনৈতিক সংলাপ জোরদার ও সফর বিনিময়েও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে উভয় দেশ।

সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সংলাপের প্রথম সেশনে তৈরি পোশাক খাতের টেকসই সরবরাহ প্রক্রিয়া, ওষুধ শিল্প, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তুলা আমদানি, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ, আইটি, টেলিকম ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনে শ্রমিকদের অধিকার ও শ্রম পরিবেশ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মান অনুযায়ী এ খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং জিএসপি (জেনারাইলজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স ট্রেড বেনিফিট বা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা) ও ডিএফসি (ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন বা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আর্থিক তহবিলের সহায়তা) নিয়ে আলোচনা হবে।

তৃতীয় সেশনে স্বাস্থ্য, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষটি স্থান পাবে। চতুর্থ সেশন ব্লু-ইকোনমি ও মার্কিন উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক বাংলাদেশের যুক্ততা ও সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইবে বাংলাদেশ।

অর্থনৈতিক সংলাপ প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপে উভয় দেশের মধ্যে শ্রম অধিকার গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাওয়া এবং উন্নয়ন বিষয়ক তহবিল থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে হলে পূর্ণাঙ্গ শ্রম অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংলাপ নিয়ে এক টুইট বার্তায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বিষয়ে আমি এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছি।