‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়‘ অ্যালবাম মুক্তির আগে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে চব্বিশটা গান গেয়েছিলেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর।
তার মধ্যে বেশিরভাগই বিতর্কিত সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের সুর ও সঙ্গীতে।
সেই শওকত আলী ইমনই চেয়েছিলেন আসিফ আকবরের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে।
সোহেল অটল-এর লেখা আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ এ স্থান পেয়েছি ঘটনাটি।
সম্প্রতি সাহস প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়।
বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়‘ অ্যালবামের কাজ শুরুর আগে আসিফ আকবর কাজ করতেন শওকত আলী ইমনের সহকারী হিসেবে।
ইমনের অনেকগুলো নকল সুরের গানে আসিফ কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
শওকত আলী ইমন একবার কিছু ডলার ভাঙ্গাতে দেন আসিফের কাছে। আসিফ ডলার ভাঙ্গিয়ে টাকাগুলো লোন হিসেবে দিয়েছিলেন শওকত আলী ইমনের এক বন্ধুকে।
তার নাম জোনাস। জোনাস সেই টাকা আর ফেরত দেননি। প্রায় দুই লক্ষ টাকা ফেরত না পেয়ে শওকত আলী ইমন খেপেছিলেন আসিফের ওপর।
গায়ক হতে ঢাকায় আসা আসিফের গান গাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
বই পড়ে জানা যায়, শওকত আলী ইমন সব স্টুডিওতে ফোন করে অনুরোধ করেছিলেন, আসিফকে যেন কোনো প্রকার গান গাওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়।
পাশাপাশি স্টেজে পারফর্ম করে এবং সাউন্ড এর ব্যবসা করে যে আয় করতেন, তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শওকত আলী ইমনের অবরোধে।
এমনকি শওকত আলী ইমন আসিফের কুমিল্লার বাড়িতে ফোন করে ধমকাধমকি পর্যন্ত করেছিলেন আসিফের স্ত্রী সালমা আসিফ মিতুকে।
মিতুকে বলেছিলেন, ‘এমন ব্যবস্থা করে দিব যাতে জিন্দেগীতে গান গাইতে না পারে।‘
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়‘ অ্যালবামের রেকর্ডিং- এ এসেও একদিন গান থামিয়ে আসিফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন।
শওকত আলী ইমনের চেষ্টা অবশ্য কাজে লাগেনি। ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়‘ অ্যালবাম মুক্তির পর রাতারাতি আসিফ দেশের জনপ্রিয় গায়কে পরিণত হন।
দেশের সব মিউজিক লেবেল তার গান প্রকাশে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
বই থেকে জানা যায়, সাউন্ডটেক থেকে টাকা পেয়েই শওকত আলী ইমনের ঋণ শোধ করেছিলেন তিনি।