জুরাসিক পার্ক নামটা শুনলেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয় সিনেমাপ্রেমীদের। ১৯৯৩ সালের ১১ জুন মুক্তি পেয়েছিল স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি ‘জুরাসিক পার্ক’। একে একে মুক্তি পেয়েছে জুরাসিক সিরিজের আরো ৫টি সিনেমা। আর এবার আসতে চলেছে সিরিজের ষষ্ঠ ছবি, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’।
কলিন ট্রেভরো পরিচালিত এ ছবিটি আগামী ১০ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দর্শকরাও আন্তর্জাতিক মুক্তির দিন থেকেই (সেন্সর সাপেক্ষে) ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড সিরিজের এই নতুন ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন। গত রোববার থেকে অনলাইন এবং কাউন্টারে ছবির অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি আরেকটি বিশেষ অফার থাকছে দর্শকদের জন্য। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত যারা স্টার সিনেপ্লেক্সে যেকোনো ছবির টিকিট কিনবেন তাদের টিকিটের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী একজন কক্সবাজারের হোটেল সায়মনে দুই রাত থাকা এবং বিমানে আসা-যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’-এ রয়েছে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো সব দৃশ্য। ভয় ধরায় আকাশে ডাইনোসরের আক্রমণ বা বাইকের পেছনে ডাইনোসরের তাড়া করার দৃশ্য। জলের নিচে লুকিয়ে থাকা আর ঠিক তার ওপরেই ডাইনোসরের চিৎকার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেয়। মহাকাব্যিক এই উপসংহারের ট্রেলার মুক্তির পর রীতিমতো ঘুম হারাম সিনেপ্রেমীদের।
প্রায় ৩ মিনিটের ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায়, শীতকালীন তন্দ্রায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অতিকায় ডায়নোসররা। জলে-জঙ্গলে-আকাশেও তারা ছড়িয়েছে তাদের ত্রাস। তবে তার সঙ্গে মানুষের সহাবস্থানের সংকট নিয়েই যে গোটা গল্পটা ঘুরছে তার আভাস আগাগোড়া স্পষ্ট।
আরো একটি দিক হলো এর স্টারকাস্ট। ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্রিস প্র্যাট, ব্রিস ডালাস হাওয়ার্ড, স্যাম নিল, লরা ডার্ন এবং জেফ গোল্ডব্লাম প্রমুখ। পুরনো জুরাসিক পার্কের অনেক চরিত্রই নস্টালজিয়া সঙ্গে নিয়ে ফিরেছে এই শেষ অধ্যায়ে। এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক কলিন ট্রেভরো বলেছেন, প্রজন্মগত দৃষ্টিকোণ থেকে এই সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ছবিগুলোর মতো এ ছবিও বক্স অফিস মাতাবে।