ওজন কমাতে অনেকেই সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খেয়ে থাকেন। এতে দ্রæত ওজন কমে। তা ছাড়া অ্যাপল সিডার ভিনেগার শরীরের জন্য উপকারী। ভালো ফল পেতে এটি গ্রহণ করতে হবে নিয়ম অনুযায়ী। তা না হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করার সময় যেসব বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি সে সম্পর্কে জানানো হলো।
খাওয়ার পরপরই পান করা নয়
খাবারের পরপরই অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করার অভ্যাস থাকলে তা এখনই বাদ দিন। এর সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে চাইলে তা খালি পেটে খাওয়া প্রয়োজন। খাবার হজমের কথা বিবেচনা করেও তা খাবারের আগে পান করতে পারেন। এতে গ্যাস্ট্রিক রস প্রতিস্থাপন করবে ও খাবার হজম হবে।
ঘ্রাণ গ্রহণ
এই ভিনেগারে রয়েছে কড়া ঘ্রাণ, যা অনেক সময় নাক ও চোখের প্রভাব ফেলে। তাই খাওয়ার আগে এর ঘ্রাণ গ্রহণ না করাই ভালো। অ্যাপল সিডার ভিনেগার সরাসরি পান না করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া ভালো। এতে ঘ্রাণ অনেকটা কমে আসে এবং দাঁত সুরক্ষিত থাকে। খাওয়ার আগে ১ থেকে ৩ চা-চামচ অ্যাপল সিডার ১০০ মি.লি. পানিতে মিশিয়ে নিন।
খাওয়ার পরই ব্রাশ করা
অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করার পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না। এতে দাঁতের উপরিভাগের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্যাভিটি ও ক্ষয় দেখা দেয়। তাই অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
অতিরিক্ত পান করা
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অ্যাপল সিডার ভিনেগারের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। যদি অ্যাপল সিডার ভিনেগার নতুন খাওয়া শুরু করে থাকেন তা হলে সীমিত পরিমাণে পান করুন, এতে শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝতে সুবিধা হবে। খাওয়া পরে যদি পেটের সমস্যা বা জ্বালাপোড়া অনুভ‚ত হয়, তা হলে তা খাওয়ার পরিমাণ আরো কমাতে হবে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়া
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খাওয়া ক্ষতিকারক। কারণ এর ফলে খাদ্যনালিতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যাপল সিডার ভিনেগার যখনই খাওয়া হোক না কেনো, খেয়াল রাখতে হবে- গ্রহণ করার পর অন্তত ৩০ মিনিট সোজা হয়ে বসে থাকা যায়। এতে খাদ্যনালির ওপর এর প্রভাব পড়বে না। ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ এবং পেটে জ্বালাভাব হওয়ার আশঙ্কা কমবে।