logo
আপডেট : ৯ জুন, ২০২২ ০০:০০
পরিপাটি খাবার ঘর

পরিপাটি খাবার ঘর

সারা দিনের পরিশ্রম শেষে পুরো পরিবারের এক হওয়ার জায়গা মূলত খাওয়ার ঘর বা ডাইনিংরুম। এ ঘরটি তাই হওয়া চাই একদম পরিপাটি। দেয়ালের রঙ, আসবাবের সাজসজ্জা, পর্দা, আলো-ছায়ার পরিমাণÑ সবকিছু বিবেচনায় রেখে গুছিয়ে নিতে পারেন আপনার বাসার-খাওয়ার ঘরটি।


টিপটপ ডাইনিং টেবিল


খাওয়ার ঘরটি ছোট হলে গোল আর বড় হলে লম্বা ডাইনিং টেবিল বেছে নিন। ডাইনিং টেবিলের ওপর গাদাগাদি করে চামচের স্ট্যান্ড, প্লেট, বাটি এসব রাখা এড়িয়ে চলুন। এগুলো ডাইনিংরুমে ছোট্ট একটি ট্রলিতে রাখুন। তাতে খাওয়ার ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস একসঙ্গে এক জায়গায় থাকবে আর টেবিলও থাকবে পরিপাটি।

টেবিলের মাঝ বরাবর সুতির কাপড় বা শতরঞ্জির রানার এবং প্রতি চেয়ারের সামনে প্লেস ম্যাট বিছিয়ে রাখুন। এতে খাওয়ার পরও টেবিল পরিষ্কার থাকবে।


চাই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস


তৃপ্তি করে প্রাণ খুলে খাওয়ার জন্য খাওয়ার ঘরের পরিবেশও হওয়া চাই খোলামেলা। খাওয়ার ঘরের জানালার পর্দার নিচে নেটের আরেকটি পর্দা রাখতে পারেন। খাওয়ার সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময় জানালা খুলে শুধু নেটের পর্দা দিয়ে রেখে ওপরের পর্দা সরিয়ে দিতে পারেন। এতে আলো, বাতাস ঘরে এলেও বাইরে থেকে ময়লা, ধুলাবালি ঘরের ভেতর তেমন আসবে না।


দেয়ালের রঙ


ডাইনিংরুম যদি খোলামেলা ও বড় হয়, তা হলে গাঢ় রঙ ব্যবহার করুন। আর যদি রুমটি ছোট হয়, তা হলে হালকা রঙ ব্যবহার করুন। এতে রুমটি দেখতে বড় লাগবে। সেই সঙ্গে আসবে প্রশান্তির ছায়া।
থাকুক ছোট্ট একটি গ্রিন কর্নার।


আপনার পছন্দমতো কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট খাওয়ার রুমের একটি জায়গায় রাখতে পারেন। এতে খাওয়ার ঘরে একটি সুন্দর, শান্তির আভা অনুভব করবেন। কর্নারে না হলেও খাওয়ার ঘরের বেসিন, জানালার পাটাতন, সাইড টেবিল বা ট্রলির ওপরও গাছগুলো রাখতে পারেন।


শৌখিনতার ছোঁয়া


খাওয়ার ঘরে অনেক কিছু থাকে, যেমন ফ্রিজ, ডিশ ওয়াগন, ওভেন ওয়াগন ইত্যাদি। ফ্রিজে সুন্দর কিছু চুম্বক, ডিশ ওয়াগনের উইন্ডোতে ছোট ভিউ কার্ড আকারের পারিবারিক ছবি সাজিয়ে নিতে পারেন।