logo
আপডেট : ৮ জুন, ২০২২ ১৭:০৩
২৪ জুন সাধারণের হাঁটার জন্য খুলতে পারে পদ্মা সেতু!
ভোরের আকাশ ডেস্ক

২৪ জুন সাধারণের হাঁটার জন্য খুলতে পারে পদ্মা সেতু!

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

’উদ্বোধনের আগের দিন (২৪ জুন) পদ্মা সেতু কিছুক্ষণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। তখন হয়তো কিছু সময়ের জন্য মানুষ পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতুতে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেছেন।

তবে এ সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে পদ্মা সেতুর ওপারে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সংসদ সদস্যরা অংশ নেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৫ তারিখ উদ্বোধনের দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে কোনো গাড়ি চলবে না।‌ ২৬ তারিখ সকাল থেকে (সময় জানিয়ে দেওয়া হবে) টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে হবে। আগের দিন (২৪ জুন) হয়তো কিছু সময়ের জন্য খোলাও হতে পারে। সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।‌ সেদিন পায়ে হেঁটে হয়তো আপনারা যাতায়াত করতে পারবেন। এ রকম একটা সময়সীমা হয়তো দেওয়া হবে। চিন্তাভাবনা আছে। দেখা যাক।’

ওবায়দুল কাদের মনে করেন, অর্থায়ন থেকে সরে গিয়ে বিশ্ব ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিবারকে যে অপমান করেছিল, পদ্মা সেতু সে অপমানের প্রতিশোধ।

তিনি বলেন, ’বিশ্ব ব্যাংক আমাদেরকে দুর্নীতি, চুরির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক যে অপমান করেছে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়-পুতুল, ববি কাউকে বাদ দেয় নাই। গোটা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অপমান করেছে। অপবাদ দিয়েছে। তারা আমাদের বীরত্বকে, আমাদের সম্মানকে ক্ষুণ্ন করেছে, আমাদের ভাবমূর্তির ওপর আঘাত হেনেছে।‌ তাই আমি বলব এই পদ্মা সেতু আমাদের সামর্থ্যের সক্ষমতার সেতু নয়। এই সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ।’

পদ্মা সেতু নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, পদ্মা সেতুর এপারে ওপারে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নাকি করেছেন খালেদা জিয়া। রূপকথার গল্প। রূপকথার কাহিনি। সাংবাদিকেরা তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, ফখরুলের এ বক্তব্যের সত্যতা কতটুকু। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।‌ কিন্তু কোনো ভিত্তিপ্রস্তর হয়নি। মিথ্যাচার। মির্জা ফখরুল কীভাবে যে এত মিথ্যা কথা বলেন!’